আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

‘খুচরো’ পয়সার সমস্যায় জর্জরিত ব্যবসায়ীরা

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

দক্ষিণ দিনাজপুর: বর্তমানকালে বাজারে হঠাৎ অন্তর্ধান ঘটেছে খুচরো টাকার। কোভিডকাল এবং তার পরবর্তীতে বাজারে এক টাকা, দুই টাকার কয়েনের প্রয়োজনের অধিক জোগান ছিল। এমন অবস্থা ছিল, দু’পাঁচ টাকার পণ্য কিনে ক্রেতারা খুচরো টাকা দিতে গেলে ব্যবসায়ীরা মেজাজ দেখিয়ে বলতেন, ‘এই খুচরো টাকা দেবেন না।’ ‘চলবে না।’ ‘হয় দশ, বিশ

টাকার নোট দিন, নচেৎ পণ্য ফেরত দিন।’ আর আজ। সেই কয়েনের জন্য এখন বিক্রেতারা পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। এক দুই টাকার কয়েনের খোঁজে তাঁরা ছুটছেন এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আর এক ব্যবসায়ীর নিকট। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর সহ সারা বংশীহারী এবং বুনিয়াদপুর এলাকায় এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকা, এমনকি দশ টাকার কয়েন বা নোটের অভাব দেখা দিয়েছে।


মালদা থেকে বালুরঘাটগামী সরকারি বাসের কনডাক্টর সুনীল সরকার বলেন, ‘কী বলবো দাদা, দশ টাকা, পনেরো টাকা ভাড়া দিতে কেউ ১০০ টাকা আবার কেউ ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিচ্ছে। বলছে, খুচরো নেই। টাকা ফেরত দিতে আমায় হিমসিম খেতে হচ্ছে।’ বুনিয়াদপুরের মুদি ব্যবসায়ী দীনেশ সাহা বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে এলাকায় এক টাকা, দুই টাকার কয়েন এবং দশ, বিশ টাকার নোটের আকাল দেখা দিয়েছে। কোনও ব্যক্তি পাঁচ, দশ টাকার পণ্য কিনলে সোজা ১০০, ২০০ কিংবা ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিচ্ছে।

জানি না, কী কারণে খুচরো টাকার আকাল দেখা দিল।’ খুচরো বিভ্রাট প্রসঙ্গে এসবিআই বুনিয়াদপুর শাখার ম্যানেজার নয়ন সরকার বলেন, ‘এই ব্যাপারে এখন কিছু বলা যাবে না।’ এখন দেখার, কবে বাজারে খুচরো টাকার জোগান এসে অভাব দূর হয়। তবে বর্তমানে খুচরো পয়সার অভাবে সমস্যায় জর্জরিত ব্যবসায়ীরা।

See also  পূর্ব বর্ধমান শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হৃদয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি