উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : শীত পড়তেই লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা বেড়ে চলেছে।আর আবার ফের মৈপীঠে বাঘের আতঙ্ক।বৃহস্পতিবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে।যায় মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশও।
শুরু হয় তল্লাশি। তবে আধিকারিকদের অনুমান, বাঘটি জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে।এদিন সকালে মৈপীঠ বৈকণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশোরীমোহনপুর এলাকায় পায়ের ছাপ দেখেন কয়েকজন গ্রামবাসী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে আতঙ্ক গ্রাস করে মৈপীঠ বাসীদের মনে। নদীর ধারে বাঘের ছাপ দেখতে ভিড় করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। খবর যায় থানা ও বনদপ্তরে। ছুটে আসেন আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের নদীর ধার থেকে সরিয়ে, শুরু হয় সার্চ অপারেশন। তল্লাশি পর বনদপ্তরের আধিকারিকদের অনুমান, রাতে বেরিয়ে এসেছিল বাঘটি।
পরে সে জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে।প্রসঙ্গত, কুলতলি, মৈপীঠ সংলগ্ন এলাকায় বাঘের আনাগোনা নতুন নয়। মাস কয়েক আগেও মাতলা ও মাকড়ি নদীর সংযোগস্থল পেরিয়ে বাঘকে দেউলবাড়ি গ্রামের ধান খেতে ঢুকতে দেখেছিলেন মৎস্যজীবীরা। গ্রামবাসীরাই রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেন।
বনদপ্তরের দীর্ঘ চেষ্টার পর সেবার দক্ষিণরায় ফিরে গেছিল নিজের ডেরায়। তাছাড়াও, মাতলা ও মাকড়ি নদীর সংযোগস্থল পেরিয়ে বারবার বাঘ চলে আসে এই লোকালয়ে।এ ব্যাপারে জেলা বন আধিকারিক (ডি এফ ও) নিশা গোস্বামী বলেন,মৈপীঠের কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপটি ২-৩ দিন আগেকার।বাঘ এসেছিলো ঠিক কিন্তু আবার সে জঙ্গলে ফিরে গেছে।এ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। বন কর্মীরা পর্যবেক্ষণে রেখেছে পুরো এলাকাটা।








