আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

৮৫ বছরের পুরনো ‘থার্ফটি’ আইসক্রিম ব্র্যান্ডের কাউন্টার বন্ধ, শৈশবের স্মৃতিতে তালা ঝুলল ৫০০ স্টোরে

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুপ্রজন্মের প্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘থার্ফটি’ (Thrifty) আইসক্রিমের কাউন্টারগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ৮৫ বছরের পুরনো এই ঐতিহ্যবাহী ব্র্যান্ডের এমন পরিণতিতে শোকস্তব্ধ তার অনুরাগীরা। প্যারেন্ট সংস্থা ‘রাইট এইড’ (Rite Aid) দেউলিয়া ঘোষণার অংশ হিসেবে এই কাউন্টারগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০টি কাউন্টারে ঝুলেছে তালা। ‘থার্ফটি’ ব্র্যান্ড নিজে যদিও দেউলিয়া হয়নি, তবে যেহেতু এই ব্র্যান্ডটি মূলত রাইট এইড স্টোরের ভিতরেই বিক্রি হত, তাই সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের ফলে সেই স্টোরগুলোর একাধিক শাখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্যালিফোর্ণিয়ার মতো রাজ্যে এই আইসক্রিম কাউন্টারগুলো ছিল এক অপরিহার্য অংশ—যেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রিয় আইসক্রিম কিনতেন। সেই স্মৃতি আজ অতীত।

‘দ্য স্ট্রিট’ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাইট এইডের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের ঋণ, আইনগত জটিলতা এবং ওষুধ বিতরণে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলার ফলে ২০২৩ সালে সংস্থাটি ১১ নম্বর চ্যাপ্টারের অধীনে দেউলিয়া ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের শুরুতে এই প্রক্রিয়া আরও তীব্র আকার নেয়। পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তারা একাধিক স্টোর বন্ধের পথে হেঁটেছে। অনেকের শৈশবের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ‘থার্ফটি’ আইসক্রিম—বিশেষ করে সাশ্রয়ী দামে চকলেট মল্টেড ক্রাঞ্চ, বাটার পিকনসহ নানা জনপ্রিয় ফ্লেভার। যদিও রাইট এইডের স্টোরে আর দেখা যাবে না সেই কাউন্টার, তবে ‘থার্ফটি’ একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে না।

ক্যালিফোর্ণিয়ার এল মন্টে (El Monte) এলাকায় এই ব্র্যান্ডের কারখানা এখনও সচল রয়েছে। সেখান থেকে এখনও কিছু গ্রসারি স্টোর এবং ওয়েস্ট কোস্টের নির্বাচিত দোকানে এই আইসক্রিম সরবরাহ করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। তবে সাধারণের মনে একটাই প্রশ্ন—শৈশবের সেই পরিচিত স্বাদ ও দৃশ্য, যা ‘থার্ফটি’-কে শুধুমাত্র একটি আইসক্রিম ব্র্যান্ড নয়, বরং আবেগে পরিণত করেছিল, তা কি আর কখনও ফিরে আসবে?

See also  Ex BJP সংসদ কুলদীপ সেঙ্গারের বিচারের আগেই, মৃত্যু উন্নাও নির্যাতিতা - প্রশ্ন থেকে গেলো বিচার পাবে কী ?

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি