শনিবার সারা দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতের মতো হাওড়া ও হুগলি জেলাতেও অনুষ্ঠিত হল জাতীয় লোক আদালত। জাতীয় লোক আদালতের মূল লক্ষ্য জমে থাকা মামলার দ্রুত নিস্পত্তি ঘটিয়ে আদালতের কাজের চাপ কমানো এবং সাধারণ মানুষের সেবায় আরও সহজসাধ্য প্রক্রিয়া প্রবর্তন করা।
হাওড়া জেলা সদর আদালত ও শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে ছিল একাধিক বেঞ্চ। হাওড়া জেলা ও দায়রা বিচারক শ্রীমতী সোনিয়া মজুমদারের নেতৃত্বে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব শ্রীমতী সুপর্ণা সরকারের পরিচালনায় হাওড়া জেলায় ২৬ টি বেঞ্চ বসানো হয়। এর মধ্যে হাওড়া জেলা আদালতে ২৩ টি এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে ৩ টি বেঞ্চে বিভিন্ন মামলার শুনানি হয়। জাতীয় লোক আদালতে মোট ৪,২৫১ টি মামলা নথিভুক্ত হয়, যার মধ্যে ৩,৮৪১ টি মামলার নিস্পত্তি ঘটে। এর মধ্যে আর্থিকভাবে ৮ কোটি ৭ লক্ষ টাকার বেশি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
Read More – বদলে গেল আয়ুষ্মান কার্ড তৈরির নিয়ম
জাতীয় লোক আদালতের ১৯ নম্বর বেঞ্চে বিচারক অসীম কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে একাধিক ঋণখেলাপী সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এই বেঞ্চে এক্সিস ব্যাংকের পক্ষে সরজিৎ বাগ এবং কৌশিক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঋণখেলাপী মামলা এই বেঞ্চে নিস্পত্তি হয়েছে।
এছাড়াও হাওড়া জেলা আদালতের অন্যান্য বেঞ্চে ট্রাফিক আইন, মানি স্যুট, ব্যাংক ঋণ এবং অন্যান্য বিষয়ক মামলাও নিষ্পত্তি হয়েছে। বিভিন্ন বেঞ্চে বিচারক হিসাবে যুক্ত করা হয়েছিল শিক্ষক, আইনজীবী, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের।
হুগলি জেলার শ্রীরামপুর আদালতে বসানো হয় ৯ টি বেঞ্চ। এছাড়াও চুঁচুড়ায় ৯ টি, আরামবাগে ৬ টি এবং চন্দননগরে ৩ টি বেঞ্চে মামলা শুনানি চলে। হুগলি জেলা ও দায়রা বিচারক শ্রী শান্তনু ঝার নেতৃত্বে হুগলি জেলা জাতীয় লোক আদালতে এই মামলা নিষ্পত্তি হয়।
জাতীয় লোক আদালত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে, দেশের নিম্ন আদালতগুলিতে জমে থাকা মামলার নিস্পত্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
