প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বঙ্গ রাজনীতিতে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ।পাল্টা চলছে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্বের একে অপরকে বাক্যবানে বিদ্ধ করা । গত ২২ ডিসেম্বর পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কাঁদরার জনসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছেড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । একই এলাকার মাঠে শুক্রবার পাল্টা জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল । সেই সভার প্রধান বক্তা ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । তিনি বিজেপি নেতা ও কর্মীদের এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ,
“দিলীপ ঘোষ কে বললেন, এরপর জনসভা করতে এলে প্যান্ট খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবো। ”
শুধু এই হুংকার ছেড়েই খান্ত হননি অনুব্রত। তিনি আরো বলেন ,নরেন্দ্র মোদী সভা করলে পাল্টা দু’ লক্ষ লোক নিয়ে সভা করার ক্ষমতা তাঁর আছে। একই সঙ্গে অনুব্রতর দাবি, মানুষ ছাড়া আর কাউকেই তিনি ভয় পান না । সৌগত রায়, ববি হাকিমের পর অনুব্রত মণ্ডলও সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী কে বেইমান ও গদ্দার কটাক্ষ করেন । সভায় উপস্থিত কর্মী ও সমর্থকদের অনুব্রত বলেন , রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে কোন উন্নয়নই হবে না। ওরা শুধু ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবে ।

অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ । পাল্টা প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন ,“অনুব্রত বাবুকে বলা হয়েছে জ্যোতিষী হয়ে উনি যেন হাওড়ায় জ্যোতিষ শাস্ত্রটা চর্চা করেন । কারণ অনুব্রত বাবুকে জ্যোতিষী কাজটাই আগামী দিনে করতে হবে। আরকিছুদিন পর অনুব্রত বাবু খোল করতাল নিয়ে বের হবেন । সেটা আমরা দেখতে পাবো। খোল করতল বাজাতে বাজাতে উনি বলবে ,আমায় একটু জায়গা দাও মা , তোমার মন্দিরে বসি । সৌমিত্র আরো বলেন , অনুব্রত মণ্ডলই আবার কোনদিন না বলে বসেন, আমি বিজেপিতে যোগদান করবো । ” সৌমিত্র খাঁর এই ইঙ্গিত ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।