কৃষ্ণ সাহা ( ভাতার ) :- এবার বাংলার গ্রামগঞ্জের পুকুরেই চাষ হবে ইলিশ। স্বাদে গন্ধে হুবহু এই ইলিশের নাম পেংবা বা মনিপুরী ইলিশ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে দেওয়া হল এই মাছের চারা।মাছপ্রিয় বাঙালির চাহিদার জোগান একা পূরণ করতে পারে না ইলিশ। তাই বাজারে পেট টিপেই দেখা সার। ভাল ইলিশ আর সেভাবে রান্নাঘরে ঢোকে না গৃহস্থের। তবে অভাব ঘোচাতেই পূর্ব বর্ধমানে এবার চাষ শুরু হয়েছে মণিপুরী ইলিশের।
মৎস্যচাষীদের উৎসাহিত দেওয়ার জন্য নতুন প্রজাতির মাছ চাষে উৎসাহ দেখা গেল ভাতার ব্লকে। কৃষি তথ্য ও উপদেষ্টা কেন্দ্র এবং সহকারি কৃষি অধিকর্তার করণ এর উদ্যোগে আতমা প্রকল্পে পেংবা অর্থাৎ মণিপুরী ইলিশ মাছ চাষের, মাছের চারা ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। ভাতার ব্লকের মোট 18 জন উপভোক্তা কে এই মনিপুর ইলিশের মাছের চারা দেওয়া হয়।বর্ধমান এক নং ব্লকেও কুড়ি জন মৎস্য চাষীকে দেওয়া হয় মাছের চারা। মূলত উদ্ভিদকণা খাদক হওয়ায় এই মাছ চাষে সহজলভ্য বলে জানান কৃষি আধিকারিক ।
দেখতে দেশি পুঁটিমাছের আদলের। তবে পুঁটির থেকে আকারে ঢের বড়। স্বাদে একেবারে ইলিশের মতো। ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, ভাতার, মেমারি ২-সহ কয়েকটি ব্লকে মৎস দপ্তরের সহযোগিতায় মণিপুরী ইলিশ বা পেংবা মাছের চাষ শুরু হয়েছে। ইলিশের জায়গায় পেংবা সকলের মন জয় করে নিতে পারবে বলে আশাবাদী বলে মনে করছেন মৎস বিশেষজ্ঞরা।
আগে গবেষণার জন্য ওড়িশা থেকে পেংবা মাছের চারাপোনা আনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এই মাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। এখন অনেক মৎসজীবীরা এই পেংবা মাছের চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এক বছরে মাছের ওজন প্রায় ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। মেমারি ২, ভাতার, আউশগ্রাম প্রভৃতি ব্লকে পেংবার চাষ শুরু করা হয়েছে।