স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হচ্ছে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিকরা বিভিন্ন ভাবে মন্তব্য করেছেন। আমাদের বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেন, স্ত্রীর সাথে হাসি ঠাট্টা মজা করা স্বামীর কর্তব্য।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম। হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন, বৌয়েরা ঘরের লক্ষ্মী হয়। এদেরকে যত বেশি ভালোবাসা দেওয়া হয়, তত বেশি সংসারে শান্তি আসে।
স্ত্রীকে যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না। বলেছেন সুনীল গঙ্গপাধ্যায়। সেই পুরুষই কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
সত্যজিৎ রায় বলেছেন, প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। স্ত্রীকে সপ্তাহে একদিন ফুচকা খাওয়াতে এবং মাসে একদিন ঘুরতে নিয়ে গেলে স্বামীর শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বলেছেন সমরেশ মজুমদার।
অনদিকে, জহির রায়হান বলেছেন, অন্য নারীর সাথে পরকীয়া করার চেয়ে স্ত্রীকে একবেলা পেটানো ভালো। তবে পেটানোর পরে তিনগুণ বেশি ভালোবাসা আবশ্যক। মন ভালো রাখতে বৌকে ফেসবুক, ফোনবুক, নোটবুক সহ সব ধরণের একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। ফেসবুকের জনক মার্ক জুকারবার্গ।
মেয়েদের মনে ভালোবাসা এবং অভিমান দুটোই থাকে বেশি। তাই অভিমানটাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় করে দেখা যাবে না। তাই স্বামীদের উচিৎ স্ত্রীর সব অভিমান ভালোবেসে ভাঙানো! বলেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
এছাড়া একটা শিশুকে দুনিয়ার মুখ দেখাতে মা যে কষ্ট সহ্য করে তা বাবা সারাজীবন ভালোবেসেও শোধকরতে পারে না। তাই প্রত্যেকটা স্বামীর উচিৎ তাঁর সন্তানের মাকে কোনোরকম কষ্ট না দেয়া। বলেছেন জীবনানন্দ দাশ।
চে গুয়েভারা বলেছেন, যুদ্ধে বিজয়ী হলেই বিপ্লবী হওয়া যায় না। প্রকৃত বিপ্লবী তো সেই যে স্ত্রীর মনের একমাত্র বীরপুরুষ।
