পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী সর্বমঙ্গলা মন্দির, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বর্ধমান মহারাজার উদ্যোগে, আজও বর্ধমানবাসীর আস্থার প্রতীক। প্রায় চারশো বছরের পুরোনো এই মন্দিরে দুর্গাপূজা শুরু হয় বিশেষ রীতি-নীতির মধ্য দিয়ে।
মহালয়ার পরের দিন, অর্থাৎ সোমবার, অনুষ্ঠিত হলো ঘট প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তসমাগম শুরু হয়। প্রাচীন নিয়ম মেনে মন্দির থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘট নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণশায়ের ঘাটে। সেখানে ঘটে গঙ্গাজল তোলা হয়। পরবর্তীতে সেই ঘট ঘোড়ার গাড়িতে করে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে আবার মন্দিরে আনা হয়।
এই ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরের শারদোৎসবের। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সর্বমঙ্গলার ঘট দর্শন করলে অমঙ্গল দূর হয় এবং জীবনে মঙ্গল আসে। তাই প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ এই ঘট প্রতিষ্ঠার দিনে ভিড় জমান মন্দির চত্বরে।

চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসা এই দুর্গাপূজো শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বর্ধমানের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও লোকবিশ্বাসেরও অঙ্গ। শারদোৎসবের সূচনা দিনে তাই বর্ধমান শহরজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। এদিনের এই ঘট উত্তোলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলাশাসক আয়েষা রানী এ , বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাস, এসডিপিও নর্থ তিথাঙ্কর বিশ্বাস,বিডিএ চেয়ারম্যান উজ্জ্বল পরামানিক সহ বিশিষ্ট জনেরা।








