গোটা দেশের মানুষ যখন করোনা মহামারীতে ভীতসন্ত্রস্ত ঠিক তখনই একেবার উল্টো ছবি পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আজ যেন উৎসবের মেজাজ। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার ২০০ টিরও বেশি আসন নিয়ে পুনরায় সরকার স্থাপন করতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
গণনার ফলাফল যেদিকে এগোচ্ছে তা দেখে শেষ পর্যন্ত ভোটগুরু তথা তৃণমূলের ভোট স্ট্রাটেজিস্ট পিকের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে । প্রসঙ্গত সম্প্রতি ট্যুইট করে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছিলেন, ‘দু অঙ্কের সংখ্যা পেরোতেই বিজেপিকে কষ্ট করতে হবে।’ বাস্তবিক দেখা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত দু অঙ্কের সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেনি বিজেপি।
এইবারের রাজ্য রাজনীতিতে যেভাবে কেন্দ্রের তাবড় তাবড় নেতারা এসে প্রচার করলেন এবং একাধিক তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদেরকে দল ভাঙ্গিয়ে বিজেপিতে অংশগ্রহণ করালেন বা করলেন আপাতত ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আজ তাদের অবস্থা শোচনীয়। একথা হলফ করে বলা যায় যে বাংলার মানুষ এই সব মীরজাফরদের রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জায়গা দিতে চাননা ।
শুধু ক্ষমতা বা সুযোগ সুবিধার লোভে দলবদলের এই পালাকে বাংলার মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। যদিও এখনো পর্যন্ত ভোটের ফলাফল সম্পূর্ণ বের হয়নি তবুও এর থেকে পরিষ্কার অনুমান করা যাচ্ছে, যে যেসকল নেতা-নেত্রীরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা প্রায় সবাই এই নির্বাচনে হারছেন। তাই বলাই যায় যে ‘আবকি বার’ বিজেপির সব হিসেব ওলোটপালট হতে চলেছে।