আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করে ও বিধায়কের চিঠি দেখিয়েও জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য শিশুপুত্রকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারলেন না বাবা মা

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- জন্মের সময় থেকেই এক শিশুপুত্রের কোমরের অংশ জুড়ে দলা পাকিয়ে রয়েছে বড় মাংস পিন্ড। সেটি যেন অনেকটা বড় টিউমারের মতই দেখতে । শিশুটি ভূমিষ্ট হবার পরেই চিকিৎসরা বলেছিলেন, অস্ত্রোপচার ছাড়া শিশুর শরীর থেকেই ওই মাংসপিন্ড আলাদা করা সম্ভব নয় ।তারজন্য জন্মের একমাস পর থেকে প্রায় তিন মাস ধরে শিশুটিকে নিয়ে এক সরকারী হাসপাতাল থেকে আরএক সরকারী হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিশুর অসহায় বাবা মা ।কিন্তু কোথাও কোন সুরাহা না পেয়ে সন্তানকে নিয়ে এখন চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন শিশুপুত্র রনির বাবা বিশ্বজিত মহান্ত ও মা মণিকাদেবী ।


পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের উচালন পঞ্চায়েতের ঘুসটিয়া গ্রামে বসবাস শিশুর পরিবারের ।শিশুর বাবা বিশ্বজিত মহান্ত ফুটপাথে বসে সবজি বিক্রি করেন ।সবজি বিক্রি করে যেটুকু রোজগার হয় তা দিয়ে তিনি কোনরকমে সংসার চালান। বাড়তি আরকোন রোজগার নেই বিশ্বজিত বাবুর । তাঁর স্ত্রী মনিকাদেবী সাধারণ গৃহবধূ ।


বিশ্বজিত বাবু সোমবার জানান ,তাঁর শিশু পুত্রের বর্তমান বয়স সাড়ে চার মাস । ভূমিষ্ট হবার সময় থেকেই তাঁর শিশু পুত্রের কোমরের অংশে বড় মাংসপিণ্ড দলা পাকানো হয়ে রয়েছে। সেটা দেখতে অনেকটা টিউমারের মতো । ছেলে ভূমিষ্ট হবার পরেই চিকিৎসকরা বলেছিলেন ‘দ্রত অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে ওই মাংসপিণ্ড আলাদা করা না হলে তাঁর ছেলের জীবন সংশয় দেখাদিতে পারে ।অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম যান ।সেখানকার চিকিৎসকরা হাততুলে নিয়ে কলকাতার
এনআরএস হাসপাতালে রেফার করেদেন । তারপর থেকে প্রায় তিনি মাস ধরে এনআরএস হাসপাতালে যাওয়া আসা করছেন । কিন্তু বেড খালি নেই বলে জানিয়ে শুধুই তাঁদের বাড়ি ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে । দিন যত গড়াচ্ছে ছেলের কোমরের অংশে থাকা মাংসপিণ্ডের আকার ততই বড় হয়েযাচ্ছে ।

See also  এক নজরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

ছেলেকে যাতে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেন তার জন্য ‘দিদিকে বলো’ নম্বারে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন । এনআরএস হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তির ব্যবস্থা হয়েগেছে বলে তারা আশ্বস্ত করেছিল । কিন্তু ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছিল । এমনকি রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুইয়ের চিঠি নিয়ে এনআরএস হাসপাতালের সুপারের কাছে গিয়েছিলেন । তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে জানিয়েছেন শিশুপত্রের বাবা । শিশু পুত্রের মা মনিকাদেবী ও মামা সৌমিত্র মালিক বুঝে উঠতে পারছেন না কি করলে এনআরএস হাসপাতালে ছেলের অস্ত্রোপচার
করাতে পারবেন । এই বিষয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য সহযোগীতা প্রার্থনা করেছেন । সন্তানকে বাঁচাতে এখন মুখ্যমন্ত্রী-ই তাঁদের শেষ ভরসা ।


বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার চিকিৎসক কুনালকান্তি দে জানিয়েছেন ,“জন্মগত ত্রুটির কারণে শিশুদের এই ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয় । ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলাহয় ‘নিউরো মাইরোসিল’ বা ‘পিঙ্গো মাইরোসিল’। এর অস্ত্রোপচার খুবই জটিল । শিশুর প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায় । তাই এই জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতার হাসপাতালেই শিশুকে রেফার করতে হয়েছে । ” রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই এদিন সব শুনে বলেন,
প্রয়োজনে তিনি ওই শিশু সহ তার পরিবারকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়েগিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে আসবেন ।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি