ডিভিসি’র জল ছাড়া জেরে বাংলার পূর্ব বর্ধমান সহ আটটি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বন্যাকে ‘ম্যান মেইড বন্যা’ বলে উল্লেখ করে ডিভিসি’কে কাঠগড়ায় তুলেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বন্যা কবলিত বিভিন্ন অঞ্চলে পরিদর্শন করেছেন এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন।
Highlight
- পূর্ব বর্ধমান সহ বাংলার আট জেলায় ডিভিসি’র জল ছাড়া: মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ এবং প্রশাসনিক তৎপরতা
- ডিভিসি’র জল ছাড়া ও বন্যার কারণ
- কেন বন্যার কবলে বাংলার আটটি জেলা?
- মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ: ‘ম্যান মেইড বন্যা’
- প্রশাসনিক তৎপরতা ও মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব বর্ধমান সফর
- মুখ্যমন্ত্রীর বর্ধমান সফর
- জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি
- বন্যা কবলিত এলাকাগুলির পরিস্থিতি
- জামালপুর ও রায়না ব্লক
- পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা
- সরকারি পরিদর্শন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
- বন্যা পরিদর্শনে মন্ত্রীদের তৎপরতা
- বোল্ডার বাঁধাই পুনর্গঠনের দাবি
ডিভিসি’র জল ছাড়া ও বন্যার কারণ
কেন বন্যার কবলে বাংলার আটটি জেলা?
ডিভিসি বা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন থেকে ছাড়া জল, পূর্ব বর্ধমান, রায়না, জামালপুর সহ আটটি জেলা ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমি, বাঁধ এবং জনবসতি। প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যার প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা চলছে।

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ: ‘ম্যান মেইড বন্যা’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বন্যাকে ‘ম্যান মেইড বন্যা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ডিভিসি’র কার্যকলাপের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেই বন্যা কবলিত জেলাগুলি পরিদর্শন করছেন এবং দ্রুত সমাধানের পথে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসনিক তৎপরতা ও মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব বর্ধমান সফর
মুখ্যমন্ত্রীর বর্ধমান সফর
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় আসছেন। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক শুরু হয়েছে, যেখানে জেলার মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। প্রধান উদ্দেশ্য হলো বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনরুদ্ধার।
জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি
জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মকর্তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারে তৎপর হয়েছেন।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলির পরিস্থিতি
জামালপুর ও রায়না ব্লক
জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম এবং রায়না ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দামোদরের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং জলপ্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। দ্রুত বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে, তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে।
পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা
বন্যার পানি কমলেও নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীর পাড়ের বোল্ডার বাঁধাই ধ্বসে পড়ছে, যা নতুন বিপদ ডেকে আনছে। গ্রামবাসীরা দাবি করছেন, আরও জল ছাড়া হলে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
সরকারি পরিদর্শন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বন্যা পরিদর্শনে মন্ত্রীদের তৎপরতা
গত সপ্তাহে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা জামালপুর এবং রায়নার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখেছেন এবং দ্রুত সুরাহা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বোল্ডার বাঁধাই পুনর্গঠনের দাবি
জ্যোৎশ্রীরামের গ্রামবাসীরা বোল্ডার পিচিং দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ এড়ানো যায়।
উপসংহার
ডিভিসি’র জল ছাড়া জেরে বাংলার আটটি জেলা ব্যাপক বন্যার মুখে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দায়িত্বে থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রীগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর। তবে জল ছাড়া এবং অতিবৃষ্টির পূর্বাভাসে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।