শনিবার রাতের সেই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হল উচালন উৎসবের নতুন কমিটি। আলোচনার প্রতিটি মুহূর্ত জুড়ে ছিল আগামী দিনের স্বপ্ন, দায়িত্ববোধ আর এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার অদম্য ইচ্ছে।
আগামী ২২শে জানুয়ারি থেকে ২৮শে জানুয়ারি—এই সাত দিন উচালন হয়ে উঠবে আনন্দের ঠিকানা। ১২তম বর্ষে পদার্পণ করা এই মেলা এবার শুধুই মেলা নয়, এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের রূপ নিতে চলেছে। মেলা কমিটির যুগ্ম চেয়ারম্যান গোফুর আলি খান জানিয়েছেন, এবছর মেলা হবে সম্পূর্ণ নতুন ভাবনায়, নতুন আঙ্গিকে।
এই মেলা মানে শুধু বিনোদন নয়—এ মেলা মানে শ্রদ্ধা, সম্মান আর মানবিকতার উৎসব।
এলাকার ৭৫ ঊর্ধ্ব প্রবীণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংবর্ধনা, সকল ধর্মের ধর্মগুরুদের উপস্থিতি, এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করবে এই উৎসব। সমাজের নীরব নায়ক—মাধবডিহি থানা এলাকার সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংবর্ধনা থাকছে এবছর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে।
মেলায় থাকছে নানান জেলার বিখ্যাত হস্তশিল্পের স্টল, আলাদা করে হস্তশিল্পীদের জন্য বিশেষ পরিসর। পাশাপাশি, এলাকার মেধাবী শিল্পীদের খুঁজে তুলে আনার উদ্যোগ এই মেলাকে আরও অর্থবহ করে তুলবে।
এই বছরই প্রথমবার, মেলা কমিটির উদ্যোগে প্রকাশিত হতে চলেছে একটি বিশেষ পত্রিকা—যেখানে স্থান পাবে এলাকার প্রতিভাবান কবি ও সাহিত্যিকদের লেখা, তাদের ভাবনা ও সৃষ্টির আলো। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে লেখা এই পত্রিকা উৎসবের স্মারক হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুর রহমান।
দীর্ঘদিন ধরে মেলার সভাপতি হিসেবে যিনি দায়িত্ব সামলেছেন, সেই দিলীপ সাহানা’র পরিবর্তে এবছর কমিটির ভার দেওয়া হয়েছে তাঁরই সুযোগ্য সন্তান রাজেশ সাহানা (রাজা)-র হাতে। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই রাজা সাহানা এই মেলাকে নতুন রূপ, নতুন প্রাণ দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন।
চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা, বিভিন্ন জেলার নামী পণ্যের স্টল, শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এবছরের উচালন উৎসব হতে চলেছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
উচালন উৎসব মানে শুধু কয়েকদিনের আনন্দ নয়—এ উৎসব মানে মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন, ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সেতু, আর আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া এক সুন্দর স্মৃতি।








