প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় পলাতক থাকা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ । ধৃতের নাম ফজল শেখ ।তাঁর বাড়ি ভাতার থানার বলগোনা গ্রামে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাহিরুদ্দিন শেখ কে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ফজল নিজেদের বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে।শুক্রবার রাতে পুলিশ ফজল শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে । পকসো আইনে মামলা রুজু করে ধৃত ফজল শেখ কে শনিবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে । বিচারক ধৃতকে জেলে হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন । অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , নির্যাতিতা নাবালিকা ভাতারের পাটনা গ্রামে মামার বাড়িতে থাকতো । সে সেখানকার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া।পেশায় টোটো চালক সাহিরুদ্দিন শেখ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর দাদার বন্ধু ।নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় সাহিরুদ্দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের মুদিখানা দোকানে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নাবালিকা উধাও হয়ে যায়। মামার বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পায়না ।অনেকটা রাতে ভাতার থানা মাধ্যমে পরিবারের লোকজন নাবালিকার উপর হওয়া নির্যাতনের কথা জানতে পারেন ।
নির্যাতিতা নাবালিকা পুলিশকে জানায় ,সে যখন মুদিখানা দোকান গিয়েছিল তখন টোটোয় চাপিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাহিরুদ্দিন তাঁকে ফোনকরে ডেকে নেয় । নাবালিকা জানায় ,সাহিরুদ্দিনের কথা সে সরল মনে বিশ্বাস করে নেয়। এরপর নাবালিকা পাটনা মোড়ে পৌছেই দেখেতে পায় বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কে টোটো নিয়ে অপেক্ষা করছে সাহিরুদ্দিন । তার সঙ্গে ফজল শেখ নামে আপর আরও এক যুবকও থাকে বলে নাবালিকা জানায়। নাবালিকার অভিযোগ, সাহিরুদ্দিনরা তাঁকে টোটোয় চাপিয়ে পাটনা মোড় থেকে প্রায় ৯ কিমি দুরে আমারুণ গ্রামের কাছে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় ।
সেখানে সাহিরুদ্দিন ও ফজল তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়“ ।এরপর নির্জন জায়গায় তাঁকে ফেলে রেখে পালায় টোটোচালক ও তার বন্ধু ।এক ব্যক্তির মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায় ।নির্যাতিতার মামার বাড়ির লোকজন ওইদিন রাতেই ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে গণধর্ষনের ধারায় মামলা রুজু পুলিশ ওইদিন রাতেই সাহিরুদ্দিন কে গ্রেফতার করে ।ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা অপর অভিযুক্ত ফজলকেও শুক্রবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।