উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন নিয়ে সমস্যায় জয়নগরে।কয়েক ঘন্টা স্কুলে তালা বন্দি করে রাখা হলো টিচার্জ ইনচার্জ সহ তিন জন শিক্ষককে।আর এই ঘটনা কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো।জানা যায় জয়নগর চক্রের অধীন জয়নগর ২ নং ব্লকের বকুলতলা থানার অধীন মনিরতট মনিপুকুর এফ পি স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চারজন স্থানীয় মহিলা স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিলের রান্না করে আসছে।

শুক্রবার আচমকা তাদের পরিবর্তন করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্য মহিলাদের দিয়ে মিড ডে মিলের রান্না করায় স্কুলের ভি সি সি কমিটির সদস্যরা।এদিন স্কুলের টিচার ইনচার্জের নিষেধ সত্বেও ভিসিসি কমিটির সভাপতি নিজে দাঁড়িয়ে এই কাজ করায় বলে অভিযোগ।আর তাই নিয়ে একটা বাগ বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।এ ব্যাপারে স্কুলের টিচার ইনচার্জ চন্দন জানা বলেন,ভিসিসি কমিটির পক্ষ থেকে রাধুনি পরিবর্তন করতে চায়,আমি বলেছিলাম সরকারি নিয়মে আমি চেঞ্জ করতে পারি না।পুরোটাই বিডিও ও জেলার হাতে থাকে।কিন্তু কমিটির সভাপতি এসব মানতে নারাজ।

তারা নিয়মের বাইরে গিয়ে এসব কাজ করতে বলে আমাকে। আমি বাধা দিলে আমাকে ও আমার দুজন সহ শিক্ষককে স্কুল ঘরে তালা দিয়ে ওরা আটকে রাখে।আমি এ ব্যাপারে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। পরে বকুলতলা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।এই স্কুলে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৩৫ জন।এ ব্যাপারে ভিসিসি কমিটির সভাপতি গোপাল ভান্ডারী তাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এব্যাপারে জয়নগর চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে টিচার্জ ইনচার্জ কিছু করতে পারে না।আর ঐ কমিটির তরফে মিড ডে মিলের রাধুনি পরিবর্তন করা হয় জোর করে বলে আমার কাছে অভিযোগ আসে।আমি পুরো ব্যাপারটি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে জয়নগর ২ নং ব্লকের মিড ডে মিলের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক অনিন্দ্য ঘোষ বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই ভাবে কোনো রাধুনি পরিবর্তন করা যায় না।তবে এদিনের এই সংক্রান্ত বিষয়ে কি ঘটেছিলো তা জেনে দেখছি।জয়নগর দু নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও কৌশিক সাহা পুরো বিষয়টি জেনে তদন্তের আশ্বাস দেন।








