আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

তিন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ, সক্রিয় নির্বাচন কমিশন — বিএলও ইস্যুতে তোপের মুখে প্রশাসন

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

তিন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর হয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের কর্ণধার (CEC) জ্ঞানেশ ভারতী জানান, অধিকাংশ বিএলও ভালভাবে কাজ করছেন, তবে প্রায় এক শতাংশ কর্মীর উদ্দেশে বার্তা— রাজনৈতিক চাপে পড়ে যেন কেউ শাস্তির মুখে না পড়েন।

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-য় বক্তব্য রাখার সময় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানির নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, বেআইনি কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, “হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আমি জ্ঞানেশ ভারতীকে অভিযোগ জানিয়েছি। ওঁরা সরাসরি বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়েছেন, যা কোনওভাবেই করা যায় না”।

শুভেন্দুর আরও প্রশ্ন, আয়ের উৎস যাচাই না করেই কীভাবে জেলাশাসক তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের পাঁচ টাকার খাবার প্রকল্পের উদ্বোধনে গেলেন? তিনি অভিযোগ তোলেন, “বিএলও-দের যে অসুবিধা হচ্ছে, তার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব মানেনি”।

ইতিমধ্যেই ফর্ম ডিজিটাইজেশন নিয়ে রাজ্যের একাংশ বিএলও-রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, একটি ফর্ম ডিজিটাইজেশন করতেই সময় লেগে যাচ্ছে অনেকটা, ফলে স্বল্পসময়ে বিপুল সংখ্যক ফর্ম পূরণের কাজ করা প্রায় অসম্ভব। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করে বিএলও-দের সহায়তা করার কথা। কিন্তু সেই ব্যবস্থায়ও গাফিলতির অভিযোগ উঠছে।

এই সমস্ত পরিস্থিতির জেরে জেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

See also  জলে ডুবে আকস্মিক মৃত্যু ঘটলো জয়নগরে দু বছরের এক শিশুর

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি