প্রতিশ্রুতি মতো এবারও শারদ উৎসবে বাড়তি সাহায্যের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া অনুদান বেড়ে দাঁড়াল ‘১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা’। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারের তুলনায় ‘২৫ হাজার টাকা’ বেশি এই অনুদান। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি উদ্যোক্তারা।
সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়, এবার ‘বিদ্যুৎ খরচের ৮০ শতাংশ ছাড়’ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ‘ফায়ার লাইসেন্স’ এবং অন্যান্য সরকারি ফি-ও মকুব করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুজোর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে জানান, “অক্টোবরের ২, ৩, ৪ তারিখে বিসর্জন হবে এবং ৫ তারিখ আয়োজন করা হবে বিসর্জন কার্নিভালের।”

২০২৪ সালের প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে অনুদান ‘লক্ষ টাকা’ করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই এবার উদ্যোক্তাদের জন্য বাড়তি বরাদ্দ। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মজার ছলেই বলেন, “এবার ৯০ হাজার থাক। নাহলে ৯৫ হাজার।” উদ্যোক্তাদের আপত্তিতে তিনি হাসতে হাসতেই ঘোষণা করেন, “আচ্ছা, এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কলকাতা এবং জেলার সব পুজো এই অনুদান পাবে। সকলে খুব ভালো করে পুজো করুন। তবে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।”
পূর্বে পুজোর অনুদান নিয়ে আইনি লড়াইয়ের প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আমি যে পুজোয় টাকা দিই, তা নিয়েও ওদের (বিরোধীদের) আপত্তি। এটা নিয়ে মামলা করেছিল। আরে পুজোয় আমরা সবাই আনন্দ করি। একটু টাকা দিলে যদি ওদের পুজোটা আরেকটু ভালো হয়, তাহলে ক্ষতিটা কী? একদিকে বলবে, আমি নাকি বাংলায় দুর্গাপুজো, কালীপুজো, সরস্বতী পুজো করতে দিই না। আবার আমি পুজোয় অনুদান দিলেও আপত্তি করবে।”