প্রতি বছর প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ব্যয় হ্রাস পেতে চলেছে কেন্দ্র সরকারের। সেই লক্ষ্যেই বুধবার দিল্লিতে ‘কর্তব্য ভবন’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নতুন ভবনটি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যেখানে এক ছাতার নিচে একত্রিত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রক।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং কর্তব্য পথের সংস্কার হয়েছে। এবার তারই পরবর্তী ধাপে উদ্বোধন হল কর্তব্য ভবনের প্রথম পর্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, “ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক এতদিন দিল্লির ৫০টি আলাদা জায়গা থেকে কাজ করত। অধিকাংশ দপ্তরই ছিল ভাড়াবাড়িতে। কেবল ভাড়া দিতেই প্রত্যেক বছর দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হত সরকারের। ভাবতে পারেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতো একটা দপ্তরের কাজ প্রায় ১০০ বছর ধরে এমন এক জায়গা থেকে পরিচালিত হচ্ছে যেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের কর্তব্যে মন দিতে হবে, ফলের দিকে নয়।” এই নতুন ভবন থেকেই ভবিষ্যতের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করেন মোদি।
সরকারের দাবি, আগের শাস্ত্রী ভবন, কৃষি ভবন, উদ্যোগ ভবন কিংবা নির্মাণ ভবনের মতো পুরনো দপ্তরগুলিতে পরিকাঠামোর ঘাটতি ছিল। নতুন ভবনের মাধ্যমে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কর্মদক্ষতাও অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রায় দেড় লক্ষ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি এই কর্তব্য ভবনে থাকছে স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, গ্রামীণ উন্নয়ন, এমএসএমই, ডিওপিটি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলি। আধুনিক পার্কিং স্পেস, শিশুদের জন্য ক্রেশ, যোগা রুম, মেডিক্যাল রুম, ক্যাফে ও রান্নাঘরের মতো সুবিধাও থাকছে। সব মিলিয়ে ২৪টি বড় কনফারেন্স রুম এবং ২৬টি ছোট কনফারেন্স রুম থাকছে এই ভবনে। আগামী মাসের মধ্যেই পুরো নির্মাণ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।