প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ১২ অক্টোবর: দুর্গা পুজোর আনন্দ কাটতে না কাটতেই দুর্গা লাভ! দামোদর নদ থেকে উদ্ধার হল দেবী দুর্গার মূর্তি। আর তা নিয়েই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির থানার দাদপুরে গ্রামে।মূর্তিটি হিন্দু দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপের বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। কীভাবে মূর্তিটি নদীতে এল, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
গ্রামের বাসিন্দা দুর্গা চরণ বিশ্বাস ও বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন,তাঁরা কয়েকজন মিলে শনিবার রাতে দামোদর নদে জাল ফেলে মাছ ধরতে গিয়ে ছিলেন। সেই সময় জাল তুলতে গিয়ে তাঁদের পায়ে শক্ত কিছু জিনিস ঠেকে। টর্চের আলো ফেলতেই তাঁরা দেখেন জালে পাথরের একটি মূর্তি আটকে আছে। মূর্তিটি কোন দেব- দেবীর মূর্তি তা তখন তাঁরা বুঝে উঠতে পারেন নি। রবিবার সকালে তাঁরা ফের নদীতে যান । তাঁরা মূর্তিটি নদী থেকে পাড়ে তুলে আনেন।তখনই তাঁরা নিশ্চিৎ হন মূর্তিটি
মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার। এরপরেই মূর্তিটি নিয়ে তাঁরা সোজা পৌছান গ্রামের মন্দিরে। সেখানে তাঁরা মূর্তিটি স্থাপন করেন।

মূর্তি উদ্ধারের খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ এদিন বেলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূর্তিটি চাক্ষুষ করে। এদিকে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার মূর্তি উদ্ধারের খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। মূর্তিটি দেখার জন্য বহু মানুষ মণ্দিরে ভিড় জমতে শুরু করেন।গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দেবীর পূজা-অর্চনা করে খব শিগগিরই মন্দিরে মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই মূর্তিটি প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামের দায়িত্বে থাকা শ্যামসুন্দর বেরা বলেন ,আমি উদ্ধার হওয়া মূর্তিটির ছবি পেয়েছি সেই ছবি দেখে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে,মূর্তিটির উচ্চতা ২ ফুট সাড়ে ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১ ফুট ৯ ইঞ্চির মতো হবে।মূর্তিটি মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার’ই মূর্তি।শ্যামসুন্দর বাবু এও জানান,আট হাতের ধূসর বেলে পথরের
মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার মূর্তিটি আনুমানিক ১৫ শো বছরেরও বেশী সময়ের পুরানো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।