চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান হাসপাতালে আসেন ১৮ বছরের বয়সী এক যুবতী। বর্ধমান জেলার বাসিন্দা ওই যুবতীর শারিরীক পরিক্ষা নিরিক্ষার পর দেখা যায় যুবতীর পেটে ছোটো ছোটো জল ভরা বেলুন মতো অসংখ্য সিষ্ট রয়েছে। দীর্ঘ কয়েকদিনের পরিক্ষা নিরিক্ষার পর অস্ত্রপ্রচারে সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান হাসপাতাল। সিনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে চলে আলাপ আলোচনা।এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অস্ত্রপ্রচারের। এনেসথেসিয়া সহ ৮ জন চিকিৎসক দলের প্রার চার ঘন্টার প্রচেষ্টায় সফল হয় অস্ত্রপ্রচার। সোমবার এই বিরল অস্ত্রপ্রচারে সাফল্যের কথা জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিটেন্ড তথা ভায়েস প্রিন্সিপাল তাপস কুমার ঘোষ। তিনি বলেন চলতি মাসের ২তারিখে চিকিৎসার জন্য আসেন বর্ধমানের ওই যুবতী।
চিকিৎসকেরা পরিক্ষা করে জানতে পারেন যুবতী পেটে ছোটো ছোটো জলভরা বেলুনের মতো প্রায় হাজার খানেক সিষ্ট আছে।এই রোগটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় “হাইডাটি সিষ্ট” বলাহয়।এটি সাধারণত বিষক্রিয়া স্যালাড বা সাকসজ্বী থেকে হয়ে থাকে। এই রোগটি লান্সে এবং লিভারে জল ভরা বেলুনের মতো হয়।এই ক্ষেত্রেও ওই যুবতীর পেটের ভিতরে জল ভরা বেলুনের মতো হয়ে ছিলো। সেই গুলো খুব সুক্ষ্ম ভাবে একটি একটি করে বের করতে হয়। যেহেতু এগুলো খুব সুক্ষ্ম যাতে বের করার সময় কোনো কারনে ফেটে না যায় সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই অপারেশনটি করা হয়। চিকিৎসকেরা চার ঘণ্টা অপারেশনে সফল হয়।এবং ওই যুবতী এখন সুস্থ আছে বলে জানান তাপস বাবু। চিকিৎসকেরা হলেন এইচ ও ডি চিকিৎসক নিশিথ চন্দ্র কর্মকার, সার্জেন্ট ডক্টর প্রনব কুমার ঘোষ, নাজমুল সফেদ জমাদার, ডক্টর রিজুয়ন উজ্জামান, ডক্টর কুশল চ্যাটার্জী, ডক্টর অর্পনা শুভন, ডক্টর অনন্যা চৌধুরী, আজ থেকে প্রধান ডঃ সুমন্ত ঘোষ চৌধুরী, ডক্টর সৌমেন মন্ডল, বিকাশ বিষয়,।
কৃষ্ণ সাহার রিপোর্ট কৃষকসেতু নিউজ বাংলা বাংলার মাঝে খবরের খোঁজে
