মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার পর থেকেই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী একসঙ্গে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছেন। বিরোধী পক্ষের প্রশ্ন— "৫০ শতাংশ শুল্কের পরে ৫৬ ইঞ্চি এবার কী বলবে?"
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, ভারতের উপরে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তাঁর মতে, ভারত এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে, তাই এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ এই বাড়তি শুল্ক বসানো হচ্ছে। এর ফলে আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করে ট্রাম্প বলেন, এই সিদ্ধান্ত আগামী ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভারত বর্তমানে রুশ তেল আমদানি করছে। তাই আমার মনে হয় ভারতের উপর আরও বেশি শুল্ক চাপানো দরকার।"

এই ঘোষণার পর ভারত তার অবস্থান জানালেও শুধু ট্রাম্পের নয়, বিরোধীদের রাজনৈতিক আক্রমণেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, '৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোটা ট্রাম্পের আর্থিক ব্ল্যাকমেল। অনৈতিক উপায়ে ভারতকে খাটো করার চেষ্টা। নিজের ব্যক্তিগত দুর্বলতার কারণে দেশবাসীর স্বার্থ যেন চাপা পড়ে না যায়, সেটা দেখতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।'
ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, '২৫+২৫=৫০। ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপালেন, এবার ৫৬ ইঞ্চি কী বলবেন? এখন আমরা বুঝতে পারছি, মোদি ও তাঁর ভঙ্গুর জোট কেন সংসদ অচল করে রাখছে।'
অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর তুলনামূলকভাবে নরম সুরে হলেও ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতিকে ‘দ্বিচারিতা’ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিমাণ খুব বেশি না হলেও, এই বাড়তি শুল্কের কারণে যন্ত্রাংশ, বস্ত্র এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর রপ্তানি বড় ধাক্কা খেতে পারে।