আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

চম্পাহাটির বাজি বাজারে নজরদারি বাড়ালো পুলিশ প্রশাসন

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: চম্পাহাটির হাড়ালের বাজি বাজার এবার কড়া নিরাপত্তায় ঘেরাটোপে।কালী পুজো আসতে আর বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। এর মধ্যেই নানা ধরনের বাজির পসরা নিয়ে সেজে উঠেছে বারুইপুর থানার চম্পাহাটির হাড়াল। এবার বাজি বাজারে দুর্ঘটনা রুখতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বারুইপুর পুলিশ ও প্রশাসন। বাজি ব্যবসায়ী ও পুলিশের কোর কমিটি নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে।

বারুইপুর পুলিশ জেলা সূএে জানা গেল, বাজি বাজারকে ঘিরে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সর্বক্ষণ দমকলের একটি ইঞ্জিন রাখা হয়েছে, যাতে আগুন লাগলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।চীনের মোড় থেকে ভিতরে যত এগনো যায়, রাস্তার দু’ধারে চোখে পড়বে বাজির দোকান।রয়েছে হরেক রকমের বাজি। তবে এবার রাস্তায় যত্রতত্র প্লাস্টিক পেতে বাজি নিয়ে বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এই রকম অস্থায়ী দোকান দেখলেই তুলে দিচ্ছে তারা।

প্রতি দোকান মালিককে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল পুলিশ। সেই নির্দেশ মালিকরা ঠিকমতো পালন করেছেন কি না, তা নিয়ে ও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত কোর কমিটি।পাশাপাশি, কোনও দোকানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন কোর কমিটির সদস্যরা। চীনের মোড়ে মাইকে প্রতিনিয়ত ঘোষণা করা হচ্ছে— আসুন, সবুজ বাজির বাজারে।

কেউ দেশলাই, লাইটার নিয়ে দোকানে ঢুকে পড়লে তাঁকে নিষেধ করা হচ্ছে।এবারে পুলিশ বাজি বাজারে খাবারের দোকান করার অনুমতি দেয়নি।কারণ, গ্যাস বা স্টোভের আগুন থেকে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতি বছর বাজারে টোটো, অটো, চার চাকার গাড়ি, বাইক, স্কুটার নিয়ে ঢুকে পড়েন অনেকে। তাতে যানজট তৈরি হয়। এবার তা রুখতে চীনের মোড়েই গাড়ি পার্কিং করতে বলা হচ্ছে।যদি কোন ও গাড়ি ঢুকে পড়ে,তাহলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালককে ডেকে সতর্ক করা হচ্ছে।

হাড়াল বাজি কমিটির সদস্য ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কোর কমিটিও নজর রাখছে এব্যাপারে। আর এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখেনি পুলিশ।সমস্ত দিকেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূএে জানা গেল।

See also  কৃষকসেতু নিউজ একনজরে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি