রিয়া ঘোষ ( কলকাতা ) :-
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল সােমেনবাবুর। তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। গত ২১ তারিখ আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয় তার। যদিও সেই রিপাের্ট আসে নেগেটিভ।
এরই মাঝে শনিবার জানা যায় যে, সোমেন মিত্র শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার কিডনি কাজ করছে না। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। এরপর বুধবার গভীর রাতে বেলভিউ হাসপাতালে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বেলভিউ হাসপাতাল থেকে বিধান ভবন সোমেন মিত্র মরদেহ আনা হবে। শেষশ্রদ্ধা জানানাের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানেই শায়িত থাকবে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার মরদেহ। সাড়ে ১২টা বিধানসভা হয়ে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ৩ নং লােয়ার রডন স্ট্রিটের বাসভবনে।
সেখান থেকে আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিট। তার পর নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অমিতাভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে শায়িত রাখা হবে বর্ষীয়ান নেতার দেহ। নেতা, করনি, সমর্থকরা এসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রয়াত নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।