একুশের মঞ্চে নজর কাড়লেন ছাত্র নেত্রী রাজন্যা হালদার। তৃণমূলের কাছে একুশের মঞ্চের তাৎপর্যই আলাদা। বাছাই করা নেতা-নেত্রীদেরই বক্তৃতার সুযোগ দেওয়া হয় প্রত্যেকবার। তবে এবার সেই শহিদ দিবসের মঞ্চে মমতার নতুন চমক রাজন্যা।

একুশে মঞ্চে এবার তৃণমূলের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেশ নজর কেড়েছে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি রয়েছে। নব জোয়ার কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নতুন প্রজন্ম নতুন মুখের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে। একুশের মঞ্চে যেন তারই প্রতিফলন ঘটল।
বৃহস্পতিবার সভাস্থলে গিয়ে রাজন্যাকে বক্তব্য পেশ করার কথা বলে এসেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুপ্রিমোর সুরে সুর মিলিয়ে ‘দিল্লি’ দখলের বার্তা দিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রী রাজন্যা হালদার। রাজন্যা হালদার প্রেসিডেন্সির ছাত্রী, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য।
তৃণমূলের কাছে একুশের মঞ্চের তাৎপর্যই আলাদা। বাছাই করা নেতা-নেত্রীদেরই বক্তৃতার সুযোগ দেওয়া হয় প্রত্যেকবার। তবে এবার সেই শহিদ দিবসের মঞ্চে মমতার নতুন চমক রাজন্যা। বৃহস্পতিবার সভাস্থলে গিয়ে রাজন্যাকে বক্তব্য পেশ করার কথা বলে এসেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মূল মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুপ্রিমোর সুরে সুর মিলিয়ে ‘দিল্লি’ দখলের বার্তা দিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রী রাজন্যা হালদার।
ছাত্রনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে মঞ্চে ডাকেন সুব্রত বক্সি। একুশের ‘থিম’ মেনে পরণে ছিল হলুদ সালোয়ার, বুকে দলের প্রতীক। ১০ মিনিটের টানটান বক্তৃতায় বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করার পাশাপাশি নেতৃত্বের ‘জয়গান’ শোনা গেল তাঁর গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানিয়ে এদিন বক্তব্য শুরু করেন রাজন্যা।
শহিদ স্মরণ করে রাজন্যা বলেন, “৩০ বসন্ত পেরিয়ে আজ আমি স্বপ্ন দেখি, ধর্মতলায় নয়, ২০২৪-এ লালকেল্লার বুকে হবে ২১ জুলাই পালন।” নেতাজির সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে এক বাঙালি বলেছিলেন দিল্লি চল। আফসোস হয়, সে দিন যেতে পারিনি। আজ আর এক বাঙালি ডাক দিয়েছেন, ইউনাইটেড INDIA হয়ে দিল্লি চল। এবার মমতার সঙ্গে থাকবই।” বিরোধীদের আক্রমণ করে রাজন্যা বলেন, “তোমাদের কাছে সিবিআই আছে ইডি আছে, আমাদের কাছে দিদি আছেন।”
গতকাল, বৃহস্পতিবার যখন মমতা সভাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, তখন রাজন্যারা গান পরিবেশন করছিলেন। ২১ জুলাই নিয়ে গান তৈরি করার কথাও জানান তাঁরা। এরপরই নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেন মমতা। বেছে নেন রাজন্যার নাম। রাজন্যা হালদারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা ‘জয়ী’ ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য। মাস কয়েক আগে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ২ দিনের ধরনা চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র-যুবদের গান শুনে এই ব্যান্ডটি তৈরি করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
৪,৫ জনের গানের দলকে নিজেই বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্রও সরবরাহ করেন। সেই ব্যান্ডের সদস্যই প্রেসিডেন্সির ছাত্রী রাজন্যা। শুক্রবার একুশে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চে এই ব্যান্ড গান গাওয়ার সুযোগও পেয়েছে।