আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

পাড়ায় পাড়ায় সমাধান শিবির: সরকারি প্রকল্প নিয়ে শাসক-বিরোধী তর্ক-তরজা

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষকসেতু নিউজ বাংলা:- রাজ্যের সাধারণ মানুষের নানান সমস্যার দ্রুত সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্প। এর মূল লক্ষ্য—একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বেশি সংখ্যক মানুষকে যুক্ত করা এবং প্রশাসনকে আরও তৎপর করা।

এর আগে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ সরকারি পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন। এবার পাড়ায় থেকে যাওয়া ছোটখাটো সমস্যাগুলির সমাধান করতেই চালু হয়েছে নতুন এই উদ্যোগ। তিনটি বুথ মিলে তৈরি হয় একটি কেন্দ্র বা শিবির। সেই অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের উখরিদ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় শিবির।

শিবিরে সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি মানুষের কাছ থেকে সমস্যা শুনে সমাধানের উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আবেদনপত্রও গ্রহণ করা হয়।

শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অভিক কুমার ব্যানার্জি, উখরিদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও অনেকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অপার্থিব ইসলাম বলেন—

“২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে গ্রামে নিয়ে এসেছিলেন। ‘নিশি যাপন’ থেকে শুরু করে ‘দুয়ারে সরকার’—মানুষের প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান হয়েছে। রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ, মিউটেশন, বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা, খাদ্য সাথী—সবই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে”।

বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের বিরোধীদের সমালোচনা শুনতে পাওয়া যায়, বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন—

“বিরোধীরা কখনও আমাদের পক্ষে বলবে না, কারণ সেটাই তাদের ধর্ম। লঙ্কা-কে ঝাল হতেই হবে নাতো তার ধর্ম থাকবেনা, নিমপাতা হলে তাকে তেতো হতেই হবে নাতো তারও ধর্ম থাকবে না। বিরোধী- রা কিন্তু বাস্তবে তারাই সবার আগে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেয়। একজনও প্রমাণ করতে পারবে না যে তারা এই প্রকল্পগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে”।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলামের বক্তব্যের জবাবে বিজেপি জেলা নেতা দেবাশীষ সরকার বলেন—

“সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সবাই নেবে, কারণ সরকার তার নাগরিকদের জন্যই কাজ করে। কিন্তু সরকারের নীতি নিয়ে সমালোচনা থাকবেই। রাজ্যের বহু প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে—এটাই আসল বিষয়”।

অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা বিনোদ ঘোষের মন্তব্য—

“সরকার আর দল আলাদা বিষয়। কিন্তু তৃণমূল নেতারা সরকারি টাকা নিজেদের টাকা মনে করেন—এটা ভুল ধারণা”।

See also  কাছে 786 নম্বরের নোট থাকলেই বাজিমাত, রোজগার তিন লক্ষ টাকা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি