বিহারে আবারও এনডিএর পুনরাগমনের ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে এক্সিট পোলের ফলাফলে। সবকিছু যদি অনুমানমতো এগোয়, তবে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফের বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার। যদিও তেজস্বী যাদবের আশা জাগানো প্রচারেও শরিকদের দুর্বল পারফরম্যান্সে এবারও তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। অধিকাংশ সমীক্ষা অনুযায়ী বিহারের ভোটযুদ্ধের ফল এনডিএর পক্ষেই ঝুঁকছে।
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিস-এর সমীক্ষা বলছে, এনডিএ পেতে পারে ১৩০ থেকে ১৩৫টি আসন, যেখানে মহাজোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১০০ থেকে ১০৮টি আসন। অন্যরা জিততে পারে ৩ থেকে ৫টি আসন। দৈনিক ভাস্কর-এর এক্সিট পোল অনুযায়ী, এনডিএ জিততে পারে ১৪৫ থেকে ১৬০ আসন, আর মহাজোট পেতে পারে ৭৩ থেকে ৯১টি আসন। প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির ভাগ্যে অনিশ্চয়তা— তারা সর্বাধিক ৩টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা। অন্যদের ভাগ্যে জুটতে পারে ৫ থেকে ৭টি আসন।
জেভিসি পোল জানাচ্ছে, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ১৩৫–১৫০ আসন। মহাজোট পেতে পারে ৮৮–১৩৩ আসন। জন সুরাজ ১ আসন এবং অন্যান্যরা ৩–৬ আসন পেতে পারে। অন্যদিকে পিপলস পালস-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এনডিএর দখলে যেতে পারে ১৩৩–১৫৯ আসন, মহাজোটের ভাগ্যে ৭৫–১০১ আসন, জন সুরাজ পেতে পারে ০–৫ আসন এবং অন্যদের হাতে ২–৮ আসন।
সব মিলিয়ে ছবিটা স্পষ্ট— বিহারের কুর্সিতে ফের বসতে পারেন নীতীশ কুমার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পে ভোটের আগেই জনসংযোগ বাড়িয়ে তুলেছিলেন নীতীশ, যার সুফল এনডিএ পেতে পারে। তবে যদি এই অনুমান সত্যি হয়, তা তেজস্বী যাদবের জন্য বড় ধাক্কা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তাঁর স্বপ্ন আপাতত আরও একবার অধরা রইল। ভবিষ্যতে কংগ্রেস বা বাম দলগুলির মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল শরিকদের সঙ্গে জোট সমীকরণ কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার। অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিও এবার প্রত্যাশামতো ফল পাচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষাগুলি।
তবে এটাও মনে রাখা জরুরি, এক্সিট পোল কোনোভাবেই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নয়। এটি কেবল বিজ্ঞানসম্মত জরিপের মাধ্যমে করা অনুমান। অতীতে দেখা গেছে, এক্সিট পোলের পূর্বাভাস অনেক সময় পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে বাস্তব ফলের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। বিহারের আগের দুই নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এক্সিট পোল ও চূড়ান্ত ফলাফলের মধ্যে ছিল বড় ফারাক।








