যুবভারতীতে ‘ফাইভ স্টার’ পারফরম্যান্স উপহার দিল সবুজ-মেরুন শিবির। মরশুমের প্রথম শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল অনেকের তরফে। কিন্তু হোসে মোলিনার শিষ্যরা সেই চ্যালেঞ্জ সহজেই পেরিয়ে গেলেন। শুরুর দিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ক্রমে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় কিবু ভিকুনার দল, ফলে ৫-১ ব্যবধানে সহজ জয় তুলে নেয় মোহনবাগান।
১৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল সবুজ-মেরুন। সাহাল আবদুল সামাদের নিখুঁত পাস পেয়েও গোলমুখে ব্যর্থ হন ম্যাকলারেন, শট চলে যায় প্রতিপক্ষ গোলকিপারের হাতে। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে ওঠে ডায়মন্ড হারবার। তবে ১৯ মিনিটে সাহালের পাস থেকে অনিরুদ্ধ থাপা দুর্দান্ত বাঁকানো শটে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন। কিন্তু ব্যবধান বেশিক্ষণ থাকেনি— ২৪ মিনিটে লুকা মাজেনের গোলে সমতায় ফেরে ডায়মন্ড হারবার।

গোলের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ডায়মন্ড হারবার। ২৭ মিনিটে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বরং ৩৫ মিনিটে ম্যাকলারেন গোল করে মোহনবাগানকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৪৬ মিনিটে অলড্রেডের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-১-এ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সে ফাউলের শিকার হন লিস্টন কোলাসো, রেফারি পেনাল্টি দেন এবং ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্ডার নরেশ সিং লাল কার্ড দেখেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান লিস্টন। ৬৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা জেসন কামিংস দারুণ স্কিল দেখিয়ে সাহালকে পাস বাড়ান, যা থেকে সহজেই গোল করেন সাহাল। এরপর সংখ্যাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ডায়মন্ড হারবারকে নিয়ে কার্যত খেলতে থাকে মোহনবাগান। ৮০ মিনিটে কামিংস নিজেই গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ৫-১। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধানই বজায় থাকে।
একাধিক খেলোয়াড় চোট ও কার্ড সমস্যার কারণে অনুপস্থিত থাকলেও এই বড় জয় নিঃসন্দেহে মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।