কৃষ্ণ সাহা ( খন্ডঘোষ ) :- মহান বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মদিবস। পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত খণ্ডঘোষ ব্লকের ওঁয়ারী গ্রামে 1910 সালের 18 ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই গ্রামে এলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন গ্রামে এসে বটুকেশ্বর দত্ত জন্ম স্থান পরিদর্শন করার পাশাপাশি পাতাল ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সহ বিধায়ক নবীন বাগ ও তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপার্থিব ইসলামের আবেদন অনুযায়ী সারা বর্ধমান জুড়ে যে সমস্ত টুরিস্ট স্পট রয়েছে সেগুলির মধ্যে বটুকেশ্বর দত্ত এর জন্মস্থান কে ট্যুরিজম স্পট হিসেবে আশ্বাস দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।
এদিন বটুকেশ্বর দত্ত এর জন্মস্থানে প্রবেশ করে তার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি এবং সভাধিপতি সম্পা ধারা ও বিধায়ক নবীন বাগ এবং অপার্থিব ইসলাম। ইংরেজদের পার্লামেন্টে বোমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকলে বেরিয়ে গেলেও দর্শকের আসনে বসেছিলেন দুই মহান বিপ্লবী ভগৎ সিং আর বটুকেশ্বর দত্ত। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপার্থিব ইসলামের মতে, বিগত 10 বছরে মা মাটি মানুষের সরকার বাংলায় এসে প্রতিটি স্তরে উন্নয়ন হয়েছে।


কিন্তু এর পূর্বে যে সরকার ছিলেন তাদের আমলে বাংলার মহাপুরুষদের জন্ম ভিটা থেকে শুরু করে কোন কিছুরই যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। বিধায়ক নবীন বাগ জানায় বটুকেশ্বর দত্ত জন্ম ভিটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমার সরকার নিয়েছে ইতিমধ্যেই ।একইসঙ্গে অপার্থিব ইসলামের কন্ঠে শোনা যায় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বাংলা জুড়ে কিভাবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মহাপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান অবহেলিত হয়ে এসেছে।
তারও আগে যে কংগ্রেস সরকার ছিল তারাও পূর্ব বর্ধমান জেলার তোরকোনা গ্রামের দানবির রাসবিহারী ঘোষ এর জন্ম ভিটা সংরক্ষণ করেননি। রাসবিহারী ঘোষ দুই দুবার কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেস 60 থেকে 65 বছর ক্ষমতায় থেকেও কিছু করতে পারেনি কংগ্রেস সরকার। এদিন বিধায়ক নবীন বাগ ও অপার্থিব ইসলামের কন্ঠে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা যায়।