প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষিবিল প্রত্যাহার না করলে জাতীয় সড়কের উপরে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করার হুঁশিয়ারী দিলেন
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।কেন্দ্রের লাগুকরা নতুন কৃষিবিলের বিরোধীতায় শনিবার বর্ধমান টাউনহলে সভার আয়োজন করে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ । সেই সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।নয়া কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে হওয়া সেই সভাথেকেই জোরদার আন্দোলনে নামার শপথ নেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সদস্যরা ।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন ,“যদি বিজেপি সরকার কৃষিবিল প্রত্যাহার করে নেয় তো ভালো, নয়তো আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে । সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন স্পষ্ট জানিয়েদেন ,আগামী ১৩ জানুয়ারির পর পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে পারাজের মধ্যবর্তী কোন জায়গায় ২ নম্বর সড়ক পথ আটকে রেখে টানা ১২ ঘন্টা ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে।এমন অবস্থান বিক্ষোভ বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডেও করা যেত।কিন্তু ওই রাজ্যে আমাদের সরকার নেই। তাই আমাদের পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে এমন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়ে দেন
।জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন বলেন, যেদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে সেদিন সকলেই চাল,ডাল,আলু, সবজি সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। অবরোধ স্থলে বসেই খাবার রান্না করে সবাই একসঙ্গে পাত পেড়ে বসে খেতে হবে।ওই দিন দিল্লির কোন গাড়ি কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
জাতীয় সড়ক অবরোধ করার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন , দিল্লির সরকার আইন,সংবিধান কোনকিছুই না মেনে জোর করে গোটা দেশে কৃষক বিরোধী কৃষিবিল চাপিয়ে দিচ্ছে।তাই আমরাও বেআইনি ভাবেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কৃষিবিলের বিরোধীতায় সামিল হবো।
krishna Saha
আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি