আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও বেসরকারি আবাসনে বুথ—দুই বিতর্কে CEO-কে চিঠি মমতার

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

এসআইআরের মধ্যেই ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি দু’পাতার একটি চিঠিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রথম প্রশ্ন চুক্তিভিত্তিক বা বেসরকারি কর্মীদের এসআইআরের কাজে যুক্ত করা নিয়ে। দ্বিতীয় প্রশ্ন ভোটকেন্দ্রকে বেসরকারি আবাসনে স্থানান্তর করার প্রস্তাব নিয়ে। এই দুটি পদক্ষেপ কার নির্দেশে হচ্ছে এবং তা ভোটের স্বচ্ছতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না—এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, DEO-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ডাটা এন্ট্রির কাজে কোনও ঠিকা বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ না করা হয়, কারণ এতে কাজের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং ভুলের সম্ভাবনাও বাড়ে। অথচ একই সময়ে নির্বাচন কমিশন নিজেই টেন্ডার ডেকে এক বছরের জন্য ১০০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করেছে। তাঁদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত বলে ধরে নেওয়া হবে কেন—এই দ্বিমুখী নীতির বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়া সম্প্রতি কমিশন বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে মতামত চেয়েছে। মমতার বক্তব্য, সাধারণত সরকারি স্কুল বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র করা হয় যাতে সবার প্রবেশাধিকারে কোনও বাধা না থাকে। বেসরকারি আবাসনে লোকজনের প্রবেশই সীমাবদ্ধ, তাহলে সেখানে ভোটকেন্দ্র করার চিন্তা কেন উঠছে? এই প্রশ্ন তুলে তিনি বিষয়টির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন—এসব সিদ্ধান্ত কার ইঙ্গিতে নেওয়া হচ্ছে? ভোটের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে কি?

রাজনৈতিক মহলের মতে, এসআইআরের ব্যস্ততার মধ্যে তৃণমূলনেত্রীর এই দ্বিতীয় চিঠি বিশেষ তাৎপর্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, অতিরিক্ত কাজের চাপে বহু বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনকি আত্মহননের ঘটনাও সামনে এসেছে বলে অভিযোগ। বিএলওদের এই দুর্দশার কথা তুলে ধরে এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে আগেও কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ফের চিঠি দিয়ে তিনি আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন।

See also  বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেদিয়ে সেই অর্থে ত্রাণ শিবিরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাদ্য সামগ্রী কিনে দিলেন হবু দম্পতি

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি