প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়
চিকিৎসক ,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী মিলেয়ে নয় জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ।তার জেরে গত শনিবার তালা পড়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আউটডোর বিভাগে ।এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন জামালপুরের বাসিন্দারা।দু’দিন ধরে হাসপালের সমস্ত বিভাগ ও হাসপাতাল চত্ত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয় ।নেওয়া হয় নানা প্রতিষেধক ব্যবস্থা । এরপর সোমবার থেকে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলো জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ।হাসপাতাল স্বাভাবিক ছন্দে ফেরায় খুশি জামালপুরবাসী ।পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ।

রবিবার রাতে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় এখনও পর্যন্ত ১০০৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে । তারমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের । চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে ৬২২ জন বাড়ি ফিরেছেন ।তার মধ্যে এদিন পর্যন্ত জামালপুর ব্লকের প্রায় ৬৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে ।গত শুক্রবার রাতে জামালপুরের ৩৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে । সপ্তাহ খানেক আগে জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা ১২ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল । তার মধ্যে ছিলেন বন্ধ্যাত্বকরণের অস্ত্রপচার জন্য জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তিন বধূ ।ওই রিপোর্ট আসার পরেই জামালপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স সহ ৮ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ,গত শুক্রবার রাতে রিপোর্ট আসলে জানাযায় জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১ চিকিৎসক ,৩ নার্স ,১ জন স্বাস্থ্য কর্মী(এনএম) ও ২ জন গ্রুপ ডি স্টাফের নাম রয়েছে ।


এছাড়াও জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন চকদিঘী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মুখ্য চিকিৎসক ও ১ জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টেরও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । তাদের সবাইকে হোম আইসোলেশানে পাঠানো হয় ।চিকিৎসক ,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী মিলিয়ে মাত্র ২০ জন জামালপুর হাসপাতালেপরিষেবা দেবার দায়িত্ব সামলান ।তাদের মধ্যে ৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই হাসপাতালের কর্মী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।পরিষেবা চালু রাখার ব্যাপারে তারা অনিচ্ছা প্রকাশ করেন । সেই কারণে শনিবার সকাল থেকেই হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে তালা পড়ে যায় ।
