মেমারী চকদিঘী মোড়ের আশপাশে ঘুড়ে বেড়াচ্ছিলেন ১ভবঘুরে দীর্ঘদিন ধরেই , স্থানীয় মানুষ অনেকে দেখেলেও গা করেনি কেউ স্বভাবতই , কিন্তু স্থানীয় মধূসুদন বিষয়ী উদ্যোগী হন তার চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য , স্থানীয় থানা ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের অফিসে যোগাযোগ করলেও মেলেনি সুরাহা , শেষে মহকুমাশাসকের নাম্বার জোগার করে সরাসরি ফোন তাকে , জানান পুরো বিষয়টি , সদর দক্ষিণের মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য এর পর বর্ধমান জেলা হাস্পাতাল ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে কথা বলেন , কিন্তু সমস্যা হয় ছেলেটির কোনো পরিচয় না থাকায় ও দায়িত্বভার নেওয়ার কেউ না থাকায় মানবাধিকার কমিশনের নিয়ম মোতাবেক মানসিক রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিকে ভর্তি নিতে অস্বিকার করে , এর পর তিনি মেমারী ১ব্লকের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পল্লিমঙ্গল সমিতি র সাথে যোগাযোগ করেন ও তাদেরকে অনুরোধ করেন উক্ত ভবঘুরের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য , পল্লিমঙ্গল সমিতির তরফে সন্দীপন সরকার জানান তারা হলফনামা দিয়ে জানায় এই ভবঘুরের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত , সেই কাগজ জমা পড়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতালে , অবশেষ ৪দিনের চেষ্টায় মানসিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে সাইক্রাটিক বিভাগে , মানসিক রোগ ছাড়া আপদত ছেলেটি সুস্থ বলেই জানাচ্ছে জরুরী বিভাগের ডাক্তার বাবুরা , দীর্ঘদিনের ভবঘুরে টির সুরাহা করার জন্য মহকুমাশাসক কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মধূসুদন বিষয়ী , সাথে সাথে পল্লিমঙ্গল সমিতির দায়িত্বভার তুলে নেওয়ার জন্যও বাহবা দিয়েছেন তিনি , পল্লিমঙ্গল সমিতির সদস্যরাও এই কাজে খুশি , ছেলেটি যাতে সুস্থ হয় দ্রুত এবং সকল সরকারী নিয়ম মেনে যায়ে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারে সেই আবেদন তারা জানিয়েছেন , আর এত সব কিছুর পরও প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ প্রচারবিমুখ মহকুমাশাসক , তার কাছে এটাতো তার কাজেরই অঙ্গ এর বাইরে আর কিছুনা ।
krishna Saha
আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি