অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে বিতর্কের আবহে এবার তদন্তের আওতায় এলেন বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদার। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইল ফোন। অভিযোগ, বালি মাফিয়াদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল তাঁর। রয়েছে তোলাবাজির অভিযোগও।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডলসহ অনেকেই লিটন হালদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আসছিলেন। অভিযোগ, কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে সাহায্যের বদলে টাকা দাবি করতেন তিনি। এইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।
লিটন হালদারের সঙ্গে বালি মাফিয়াদের যোগ ছিল কি না, তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রায় দুই বছর আগে সিআইডি-তে কর্মরত অবস্থান থেকে বোলপুর থানায় বদলি হন তিনি। সেই সময় অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন তিহাড় জেলে। জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের বীরভূমে ফিরে অনুব্রত স্বমহিমায় ফিরে আসেন। এরপরই তিনি ফোনে লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কল রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। কীভাবে ফোন রেকর্ড ভাইরাল হলো, কে বা কারা এটি ফাঁস করল — তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বীরভূমের পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে নোটিশ। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন।
সবমিলিয়ে এখন এক অনুব্রত নন, তদন্তকারীদের নজরে আইসি লিটন হালদারও। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক গুরুতর অভিযোগ যাচাই করে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। রাজ্য পুলিশের একাংশের মতে, এই তদন্তেই স্পষ্ট হবে অনুব্রত মণ্ডল বনাম লিটন হালদার দ্বন্দ্বের নেপথ্যের আসল চিত্র।