আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বর্ধমান স্টেশনে এস্কালেটের ও ভিডিও ওয়ালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও প্রকাশ পেল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৮ মার্চ

উন্নয়ন কাজ নিয়ে অব্যাহতই রয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।শনিবার বর্ধমান স্টেশনে এস্কালেটের ও ভিডিও ওয়ালের উদ্বোধন কর্মসূচিওতেও দেখাগেল সেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ছোঁয়া।বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়ার কর্মসূচিতে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়করা কেউই যোগ দিলেন না।তাই শুধু বিজেপি সাংসদ ও পূর্ব রেলের ডি আর এম মণীশ জৈনের উপস্থিতিতেই এদিন বর্ধমান স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মের চলমান সিঁড়ির উদ্বোধন হল। একই সঙ্গে এদিন থেকেই বর্ধমান স্টেশনে চালু হয়ে গেল ছয়টি ভিডিও ওয়াল।উদ্বোধন চলা কালীন জয়ধ্বনিও ওঠে মোদীজি ও সাংসদ আহলুওয়ালিয়ার নামে।

 

রেল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে হওয়া এদিনের কর্মসূচীতে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক আমন্ত্রিত ছিলেন।বোর্ড এবং আমন্ত্রণপত্রে তাদের নামও ছিল।বিজেপি সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া এবিষয়ে বলেন ,“আমরা কর্তব্য করেছি।সৌজন্য দেখিয়েছি। ওঁরা এলে ভাল লাগত। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলব“। উদ্বোধন চলাকালীন মোদীজি ও স্বয়ং সাংসদের নামে জয়ধ্বনি ওটা নিয়ে অবশ্য রক্ষণাত্মক মত প্রকাশ করলেন। সাংসদ আহলুওয়ালিয়া । তিনি বলেন, “ওখানে অনেক লোক ছিল।কেউ আমাকে কাল পতাকা দেখাতেও পারত। মোদীজি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী“।রেলের পুরনো ওভারব্রিজ ভেঙে দেওয়াতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের যে অসুবিধা হচ্ছে তা নিয়ে রেলকে বলবেন বলেও সাংসদ আহলুওয়ালিজি জানিয়েছেন।

 

 

বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক বলেন,“রেলের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ’দিদির সুরক্ষা কবচ ’ কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য আমি রেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারে নি“।আর বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস আবার উল্টো কথাই শুনিয়েছেন। তিনি বলেন,“আমি কোন আমন্ত্রণ কার্ড পায় নি।আমি যখন “বর্ধমান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে’দিদির সুরক্ষা কবচের’ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম তখন শুনলাম রেলের অনুষ্ঠান হচ্ছে। সাংসদ বক্তব্য রাখছেন“।

See also  উচলনে পথ দুর্ঘটনার শিকার বাইক চালক

 

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি