পূর্ব বর্ধমান জেলার, মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে চরম সংশয়। স্কুলটিতে শিক্ষক সংখ্যা মাত্র পাঁচ। কিন্তু সম্প্রতি ওই পাঁচজনকেই একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে বিএলও (BLO) বা ভোট সম্পর্কিত দায়িত্ব। ফলে চিন্তায় পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। স্কুল চালানোর স্বার্থে অন্তত কিছু শিক্ষককে BLO দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক”। তবে এখনো পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলেই জানান তিনি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলটিতে ছাত্র সংখ্যা ২১২। সামনেই রয়েছে পরীক্ষা। এই অবস্থায় যদি সব শিক্ষকই প্রশিক্ষণে বা BLO দায়িত্ব পালনে যান, তবে বন্ধ হয়ে যাবে পঠন-পাঠন। মিড-ডে-মিল পরিচালনা, খাতা দেখা, পরীক্ষা নেওয়া—সব কিছুই ব্যাহত হবে।
একজন শিক্ষক বলেন, “সামনেই পরীক্ষা। মিড-ডে-মিলের হিসাব, খাতা দেখা, পরীক্ষার আয়োজন—সব দায়িত্ব আমাদেরই। BLO-র কাজ করতে গেলে স্কুল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে”।
অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক অভিভাবকের বক্তব্য, “সব শিক্ষকদের যদি তুলে নেওয়া হয় ভোটের কাজে, তাহলে ছাত্রদের পড়াবে কে?” আরেকজন বলেন, “স্কুলে অশিক্ষক কর্মী নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষকরা না থাকলে স্কুল কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা দরিদ্র পরিবার, বাচ্চাদের টিউশন করানোর সামর্থ্য নেই। স্কুলই তাদের একমাত্র ভরসা”।
এ বিষয়ে মঙ্গলকোটের বিডিও অনামিত্র সোম ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু জানান, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ীই BLO-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই”।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের আশা—উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে অন্তত কিছু শিক্ষককে BLO দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেবে, যাতে পরীক্ষার মুখে স্কুল বন্ধ না হয়।







