আবারও ফিরে এল সেই করোনা আতঙ্ক। চিনে নতুন করে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। করোনার বাড়বাড়ন্ত নতুন চিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। গত তিন বছরের তুলনায় সবথেকে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে চিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৯০ দিনে চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক হতে পারে। আমেরিকার ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যাত্রিক্স অ্যান্ড এভিলিউশন নামে এক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এপ্রিলে চিনে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর সম্ভবনা রয়েছে।
চিনে যখন এই পরিস্থিতি, ঠিক তখন ভারতেও ঢুকে পড়ল আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়ল নয়া কোভিড ভ্যারিয়ান্ট। ভারতে হদিশ মিলল অতি সংক্রামক কোভিড ভ্যারিয়ান্ট BF.7-এর। জানা গিয়েছে, ভারতে ৩ জনের শরীরে এই নতুন প্রজাতির করোনার হদিশ মিলেছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই দেশে ঢুকে পড়েছিল এই করোনার এই নয়া স্ট্রেন। আবার কিছু বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন যে, সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ওমিক্রনের নয়া এক ভ্যারিয়ান্ট প্রবেশ করেছিল ভারতে।
ওড়িশাতে প্রথম এই নয়া প্রজাতির করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া যায়। এক ব্যক্তির শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে। ওই ব্যক্তির নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। দেখা যায় ওডিশার বাসিন্দা BF.7 ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত। অন্যদিকে, গুজরাটের ভদোদরাতে এক বৃদ্ধার শরীরেও একাধিক উপসর্গের হদিশ মেলে। এরপরই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে, বুধবার তাঁর রিপোর্টে ধরা পড়ে নয়া ভ্যারিয়ান্ট। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভারতে। জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুজরাটে ফিরেছিলেন ৬১ বছরের এই বৃদ্ধা। তাঁর শরীরেও BF.7 প্রজাতির হদিশ মেলায় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর আরও জোর দিচ্ছে গুজরাট প্রশাসন।
এদিকে, করোনার চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে, চিন,জাপান, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে যে প্রজাতির কোভিড ছড়িয়ে পড়েছে, তারই একটি সাব ভ্যারিয়ান্ট এবার ভারতে ঢুকে পড়েছে। উল্লেখ্য, ওমিক্রন BA.5 ভ্যারিয়ান্টের একটি সাব ভ্যারিয়ান্ট এই BF.7। এই নয়া প্রজাতিই এবার তিনজনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে