কৃষকসেতু, কৃষ্ণ সাহা, বর্ধমান:- জীবে প্রেম করে যে জন, সে ই তো বুঝি ঈশ্বর—এই আদর্শকে পাথেয় করে পূর্ব বর্ধমান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন—হেল্প পরিবার। আজ সেই পরিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে মানবিকতার দীপ্ত নিদর্শন হয়ে উঠেছে।

এই সংগঠনের কাজ কেবলমাত্র একটি খাতে সীমাবদ্ধ নয়—কখনো কারো মুখে অন্ন তুলে দিতে, কখনো অসুস্থ রোগীর জন্য রক্ত জোগাড় করে দিতে, আবার কখনো শীতের রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিতে দেখা যায় হেল্প পরিবারের নিবেদিত সদস্যদের। বছরের প্রতিটি দিনে, তারা নীরব থেকে মানুষের পাশে থাকার যে অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এবার রথযাত্রার দিন সেই মানবিক সেবার চিত্র আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে, বর্ধমান শহরের রেলস্টেশনসহ একাধিক এলাকায় অসহায় মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হলো রান্না করা খাবার। হেল্প পরিবারের সদস্যরা নিজের হাতে রান্না করে সেগুলি ভালোবাসা ও হাসিমুখে তুলে দেন সেইসব মানুষের হাতে, যাদের মুখে অনেক সময়ই খাবার জোটে না।
এই উদ্যোগ প্রায়ই গ্রহণ করা হয়, হেল্প পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায়। এই প্রসঙ্গে পরিবারের এক সক্রিয় সদস্যা সুপ্রিয়া দাঁ জানান, “আমরা চেষ্টা করি বছরের প্রতিটি দিনই কারও না কারও পাশে দাঁড়াতে। রথযাত্রার দিনটাকে আমরা বেছে নিয়েছিলাম যাতে অন্তত কিছু মুখে হাসি ফোটে, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
হেল্প পরিবারের এই নিরব, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসার বার্তা যেন আরও অনেককে উদ্বুদ্ধ করে, তেমনটাই আশাবাদী সচেতন সমাজ।