করোনা ভাইরারের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুজন । তাবলে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে বন্ধ নেই তৃণমূলে গোষ্ঠি সংঘর্ঘ ও বোমাবাজি ।রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গলসির রামপুর গ্রাম।সংঘর্ষে জগন্নাথ বাগদি, উত্তম বাগদি ,রাজু ঘোষ ,তন্ময় ঘোষ ও মানিক ঘোষ নামে পাঁচ জন জখম হ । তাদের উদ্ধার করে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে । পরে সেখান থেকে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । জখমদের মধ্যে তন্ময় ও মানিকের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ।
উত্তেজনা জারি থাকায় এলাকায় জারি রয়েছে পুলিশ টহল।শুরু হয়েছে পুলিশী ধরপাকড় ।গলসি ১ নম্বর ব্লকের রামপুর গ্রামে শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নতুন কোন ঘটনা নয় । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব ঘোষের সঙ্গে শাসক দলের রাজু ঘোষের বিবাদ তৈরি হয় । সেই বিবাদ এখনও পুরোদস্তুর অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এদিন সকালে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনের উপর পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব ঘোষের নেতৃত্বে প্রথম হামলা চালানো হয় । তাদের লাঠি দিয়ে মারার পাশাপাশি টাঙ্গি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে জয়দেব ঘোষের বিরুদ্ধে।যদিও পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব ঘোষ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা অভিযোগে, তিনি বলেন ,তাদের এক কর্মী জগন্নাথ বাগদি এদিন সকালে রামপুর মোড় থেকে সাইকেল চড়ে নিজের গ্রামে ঢুকছিল।
ওই সময় হঠাৎ গ্রামের রাজু গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন লোক লাঠি ,টাঙ্গি নিয়ে তার উপর হামলা চালায় । তাকে প্রথমে পুরসা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে বর্ধমানে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করতে হয়। এরপরেও রাজুর লোকজন হামলা বন্ধ হয় নি । ফের তারা অন্যদের মারধর করতে যায়। জয়দেব বাবু বলেন, গ্রামবাসীরা এরপরেই পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোল। এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে,গলসি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি পার্থ সারথির অনুগামী হিসাবে পরিচিত রাজু ঘোষ ।অন্যদিকে পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব ঘোষ ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের অনুগামী বলেই এলাকায় পরিচিত। করোনা আতঙ্কের মধ্যেও এই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ মারপিট অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।তৃণমূলের রাজ্য সমন্বয় কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু এদিন বলেন, গলসিতে কি নিয়ে বিবাদ তা জানা নেই। খবর নিয়ে দেখছি।তবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কেউ গোলযোগ সৃষ্টি করে থাকালে দল তাদের রেয়াত করবে না ।