আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

রেল দপ্তরে চাকরি করেদেবার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা – গ্রেপ্তার পাঁচ

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রেলে‘গ্রুপ-ডি’ পদে চাকরির জাল নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছথেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন পাঁচ প্রতারক।ধৃতরা হলেন পূর্ণিমা দে,ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় ,মতিলাল কোনার ,রতন রায় ও গোবিন্দ দে।ধৃতদের মধ্যে রতন রায় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কেশবপুরের বাসিন্দা ।বাকি সকল ধৃতর বাড়ি জেলার আউসগ্রামের
গুসকরায়।সোমবার রাতে আউসগ্রাম থানার পুলিশ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

ধৃতদের কাছ থেকে ভুয়ো নিয়োগপত্র ও চারটি মোবাইল ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার পাঁচ ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে ।প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং চক্রে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তার সন্ধান পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন পূর্ণিমা দে ও ভৈরব কে ১০ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । বিচারক এই দুই ধৃতের ৪ দিনের পুলিশ হেপাজত ও বাকি ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।

পুলিশ জানিয়েছে ,আউসগ্রামের গুসকরা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন যুবক সব্যসাচী মন্ডল ।প্রতারণার বিষয়ে সোমবার তিনি গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ।যুবকের অভিযোগ পূর্ণিমা দে ও তার স্বামী গোবিন্দ দে তাঁকে রেলে ‘গ্রুপ-ডি’ পদে চাকরি করে দেবার কথা বলেন । এরপর পূর্ণিমা প্রথমে তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেয় । তারপর পূর্ণিমা ও তার স্বামী প্রথম তাঁকে ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ও পরে মতিলাল কোনার ,রতন রায় সহ আরও বেশ কয়েকজনের কাছে পাঠায় ।যুবকের অভিযোগ পূর্ণিমার মাধ্যমে ওই সকল ব্যক্তিরা কয়েক দফায় তাঁর কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নেয় ।

যুবক পুলিশকে জানিয়েছে পূর্ণিমা তাঁকে শিয়ালদহ ডিআরএম অফিসে নিয়েগিয়ে ইন্টারভিউ করায়। পরে ডাক যোগে যুবকের কাছে রেলের ‘গ্রুপ- ডি ’পদে চাকরির একটি নিয়োগ পত্র এসে পৌছায়। তাতে পূর্ব রেলের রিক্রুটমেন্ট অফিসারের স্বাক্ষর ও শিলমোহর যেমন ছিল তেমনই ছিল অশোক স্তম্ভ সহ রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের শিল । সেই নিয়োগ পত্র নিয়ে রেল দপ্তরের কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসের অফিসে যায় যুবক। নিয়োগ পত্রটি যুবক সেখানকার আধিকারিকদের দেখানোর পর সে জানতে পারে নিয়োগ পত্রটি জাল ।

See also  কলকাতার অতিপরিচিত মোহাম্মদ আলী পার্কের দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হলো

প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পারার পর যুবক সব্যসাচী মণ্ডল সবিস্তার লিখিত ভাবে উল্লেখ আউসগ্রাম থানায় জানায় । যুবকের কাছথেকে অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তদন্তে নামে । সোমবার রাতেই পুলিশ প্রতারণা চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে চক্রের জাল বহু দুর বিস্তৃত রয়েছে । চক্রের সদস্যরা মিলে এখনও পর্যন্ত ২০ জন
চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৪১ লক্ষেরও বেশী টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে । তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে ভৈরব বন্দোপাধ্যায় ও রতন রায় চক্রের মূল পাণ্ডা ।

জেরায় এক ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে ,গুসকরার বাসিন্দা পূর্ণিমা দে এবং মোতিলাল কোনার তাঁদের আত্মীয়র চাকরির জন্য ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাকা দেয়। পরে ভৈরব তাদেরকেই চাকরিপ্রার্থী জোগাড় করে দেওয়ার বিনিময় মোটা টাকা কমিশনের টোপ দেয় ।সেই ফাঁদে প্রথমেই পা দিয়ে বসে পূর্ণিমা দে। পরে পূর্ণিমার সঙ্গে যুক্ত হয় তাঁর স্বামী গোবিন্দ দে ও মোতিলাল কোনার সহ গুসকরার কয়েকজন। এদের মাধ্যমেই বহু চাকরি প্রার্থী ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাকা দিয়েছে । পূর্ণিমা ও ভৈরবকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ প্রতারণা চক্রের বাকি সদস্যদের নাগাল পেতে চাইছে ।প্রতারণা চক্রে রেল দপ্তরের কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে ।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি