আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সরকারি নির্দেশ কে মান্যতা দিতে গিয়ে বাস মালিকদের কপালে ভাঁজ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষ্ণ সাহা ( বর্ধমান ) :- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশিকা কে মান্যতা দিয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সারা রাজ্য জুড়ে বাস পরিষেবা। সেইমতো দক্ষিণ দামোদর রুটসহ বর্ধমান জেলার সমস্ত জায়গাতেই বাস পরিষেবা চালু করার জন্য প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে।

কিন্তু দিনের পর দিন যেভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ বাস মালিকদের। ৯৩ টাকা লিটার প্রতি ডিজেল কিনে বাস চালিয়ে সফলতার মুখ কিভাবে দেখবেন সেটাই বুঝতে পারছেন না বাস মালিকরা। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫০% যাত্রী নিয়ে চালাতে বলা হয়েছে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি বাস।

কিন্তু হিসেব করে দেখা যাচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির দাম এবং বাসের যা-কিছু আনুষঙ্গিক খরচ তার সাথে ৫০% যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে গিয়ে আয়ের থেকে বেশি ব্যায় করে লোকসানের মুখে পড়বেন বাস মালিকরা। ট্যাক্স এর ক্ষেত্রে বাস মালিকরা গত বছর আইনি জটিলতার জন্য তিন মাসের জায়গায় দুই মাসের ছাড় পেলেও এবারে সরকার কিন্তু সেরকম কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

অন্য দিকে আবার খারাপ রাস্তার জন্য বাস মেরামতি থেকে শুরু করে, শ্রমিকদের মাইনে দেওয়া সবটাই রয়েছে। বিশেষত বেকার যুবকরা বাসের কনডাক্টর কিংবা চালকের কাজ করে।বর্তমানে বাসের পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য তারা কেউ কেউ বেকার কেউ আবার অন্য পেশার সঙ্গে নিযুক্ত। এই সময়ে শ্রমিকের সমস্যা হওয়ায় বাস চালাতে পারবেন বলে কথা দিতে পারছেন না বাস মালিকরা। তাই সব দিক বিচার করে আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে ভাড়া ঠিক করা হোক, বাস মালিকরা প্রকৃত বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপোর্ট কমিশনার, পরিবহন মন্ত্রীকে।

আপাতত পুরাতন ভাড়াতেই চলবে বাস। এছাড়াও দক্ষিণ দামোদরের বাস গুলিকে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে না দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা। তেলিপুকুর যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হলেও সেখানে নেই সঠিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার, নেই বাস দাঁড়ানোর জায়গা যাত্রীদের বসার জায়গা কিংবা টয়লেট। ট্রেনের ওভার ব্রিজ তৈরী হওয়ার পর ক্রিসক্রস সিস্টেমে বাস চলার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা হয়নি।

See also  দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত তৃণমূল নেতার ঘটনায় তদন্তে সিআইডি

এই নিয়ে অবশ্য, জেলা পরিষদের সদস্য সভাধিপতি কিংবা এম এল এর কাছে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। দক্ষিণ দামোদর এর মানুষের কথা চিন্তা করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক এমনটাই চাইছেন বাস মালিকরা।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি