বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) :- নিষেধ অমান্য করে মেলা দেখতে যাওয়া মেয়েকে প্রাণে মারায় অভিযোগে গ্রেপ্তার হল বাবা ।ধৃতের নাম হোসেন শেখ । তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে। নিজের মেয়ে কুলশুমা খাতুন (১৭) কে প্রাণে মারার অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে হোসেন শেখ কে গ্রেপ্তার করে ।
শুক্রবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা ধৃতকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , ঘটনাটি ঘটেছিল
২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর । ওই দিন গ্রামে মেলা বসেছিল । কিশোরী কুলশুমা সেই মেলা দেখতে যাবার জিদ ধরে ।মেলা দেখতে যাওয়া যাবেনা বলে মেয়েকে জানিয়ে দিয়েছিল বাবা হোসেন শেখ । তা সত্ত্বেও বাবার নিষেধ অমান্য করে মেয়ে কুলশুমা মেলা দেখতে যায় । তাতেই চটেযায় হোসেন । অভিযোগ মেয়ে কুলশুমা মেলা দেখে বাড়ি ফেরায় পর বাঁশের লাটি দিয়ে তাকে মারধোর করে হোসেন । সেই মারে কুলশুমা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরিবারের লোকজন কিশোরীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ চেপে যায় চিকিৎসকের কাছে । শ্বাসকষ্টের কারণে কুলশুমাকে হাপাতালে এনেছে বলে পরিবারের লোকজন চিকিৎসককে জানায় ।
কর্তব্যরত চিকিৎসক কুলশুমার পরিবারের কথা বিশ্বাস করতে পারেননি। তিনি ভাতার থানায় ঘটনার কথা জানান। হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার চন্দ্রিমা ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। কিশোরীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পরদিন পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিন বিভাগে। রিপোর্টে জানানো হয় মারধরের কারণেই কুলশুমার মৃত্যু হয়েছে । এরপরেই ভাতার থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। কিশোরীকে প্রাণে মারার অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত বাবা হোসেন শেখ কে গ্রেপ্তার করে ।