উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: বাঙালি মানে মাছে ভাতে অভ্যস্ত।আর এবার চিংড়ি ব্যবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাষিরা। আর যার জেরে ব্যবসা বন্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কম শ্রমিক নিয়ে কোনোরকমে কাজ চলছে।একদিকে শুল্ক বাণে আমেরিকায় চিংড়ি রফতানি বন্ধ, অন্যদিকে স্থানীয় মেছো ভেড়িতে লাগাতার চিংড়ির মড়কে একেবারে দিশেহারা চিংড়ি চাষিরা।

যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিংড়ির চাষ করেছিলেন তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে।কুলতলির এক চিংড়ি ব্যবসায়ী বলেন, চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে বাইরে পাঠানো হয়,কিন্তু বিদেশের বাজারে চিংড়ির বাজার না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এরকম চলতে থাকলে অন্য পেশায় চলে যাচছে এখানকার চাষিরা।একদিকে চিংড়ি কারখানায় শ্রমিকের কাজ চলে যাওয়ায় অনেকেই আবার পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ফিরেছেন বলে মনে করেন রায়দীঘি এলাকার এক শ্রমিক নেতা। অপরদিকে ফিশারিতে বাগদা ও ভেনামি চিংড়ি মরে ভেড়ির জলে ভেসে উঠছে।


ভেড়ির কর্মীদের দাবি, যত মাছ জলের উপরে ভাসছে তার থেকে বেশি মাছ জলের নীচে মরে পচে ডুবে আছে।আমেরিকা চিংড়ির উপরে পঞ্চাশ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় চিংড়ি রফতানি প্রায় বন্ধ। অল্প দামে দেশের লোকের কাছে চিংড়ি বিক্রি করা হবে সে উপায়ও নেই। এখন যা পরিস্থিতি তাতে চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়াও সমস্যা। ফলে চিংড়ি চাষি ও চিংড়ি ব্যবসায়ী দু’পক্ষেরই লোকসানের বহর বাড়ছে। সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে এই ব্যবসা পুরো মাঠে মারা যাবে।কর্মহীন হয়ে পড়বে বহু মানুষ।







