আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজির নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে হাজার হাজার টাকা প্রতারণা – রাজস্থান থেকে পাকড়াও অভিযুক্ত

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ২৩ নভেম্বর: বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজির(DIG ) নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার করা হল রাজস্থানের এক যুবককে। বর্ধমান সাইবার থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া । ধৃতের নাম সলমন খান। রাজস্থানের শিকরি থানার বুদলি গ্রামে তার বাড়ি। স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে বর্ধমান সাইবার থানার পুলিশ বুধবার ১৯ বছর বয়সী সলমন খানকে গ্রেফতার করে।

রাজস্থানের শিকরির অতিরিক্ত সিজেএম আদালতে ধৃতকে পেশ করে চারদিনের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান সাইবার থানার তদন্তকারী অফিসারের সেই আবেদন মঞ্জুর করে শিকরির আদালত।পুলিশের দাবি,বর্ধমান সাইবার থানায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে সলমন ডিআইজির নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে ৫০ হাজার টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সাথে সাথে তার সঙ্গে জড়িত থাকা বাকিদের কথাও সে পুলিশকে জানিয়েছে।

কুখ্যাত এই অপরাধিকে পুলিশ শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করে।প্রতারণা চক্রের বাকিদের হদিশ পেতে এবং হাতিয়ে নেওয়া ওই টাকা ও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট উদ্ধার করতে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় তদন্তকারী অফিসার। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,“কয়েকমাস আগে বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি শ্যাম সিংয়ের নাম দিয়ে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর এনিয়ে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। লোক ঠকানোর উদ্দেশ্য নিয়ে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে বলে জানানো হয়। সরকার এবং আইপিএস অফিসারের ভাবমূির্ত নষ্ট করার জন্য অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে বলে অভিযোগে জানানো হয়।তার ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে বর্ধমান সাইবার থানা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে ডিআইজির নাম করে টাকা তোলা শুরু করেছে প্রতারক। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মেটা কর্তৃপক্ষ এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে চিঠি দেয়। কোথা থেকে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর পরিচয় বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। সেই সূত্র ধরে একটি মোবাইল নম্বরের সন্ধান মেলে। এরপরই সেই মোবাইল নম্বরের ব্যবহারকারীর পরিচয় জানতে টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারকেও পুলিশ চিঠি দেয়। তা থেকে মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারীর পরিচয় সামনে আসে। এরপরেই প্রতারককে ধরতে বর্ধমান সাইবার ক্রাইমের একটি টিম রাজস্থানে রওনা দেয়। মোবাইল নম্বরটি সলমনের বাবার নামে থাকলেও সলমনই সেটি ব্যবহার করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

See also  চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি