বর্ধমান, কৃষ্ণ সাহা:-
দুর্গোৎসব মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর সেই উৎসবের আবহ এবার ছড়িয়ে পড়ছে সাত সমুদ্র পেরিয়ে কানাডাতেও। বর্ধমান শহরের বেচারহাট এলাকার শিল্পী সিদ্ধার্থ পালের হাতের গড়া দুর্গা প্রতিমা সোমবার সকালেই যাত্রা শুরু করেছে অন্টারিও শহরের উদ্দেশ্যে। রবিবার রাতভর চলেছে প্যাকিং, ভোরের আলো ফুটতেই বিদেশের পথে উড়াল দিয়েছে প্রতিমা।
মাত্র আড়াই কেজি ওজনের এই ৩০/২০ ইঞ্চি ফাইবার গ্লাসের প্রতিমাটি বানাতে সিদ্ধার্থবাবু ও তাঁর স্ত্রী তন্দ্রা পাল নিরলস পরিশ্রম করেছেন প্রায় ২২ দিন। প্রতিটি তুলির আঁচড়, প্রতিটি রঙের ছোঁয়ায় যেন মিশে আছে বর্ধমানের আবেগ, বাঙালির সংস্কৃতি আর শিল্পীর আত্মার স্পন্দন।

শিল্পী সিদ্ধার্থ পাল বলেন, “ছোট থেকেই মাটির গন্ধে বড় হয়েছি। প্রতিমা গড়ার টান রক্তে মিশে আছে। বিদেশে মূর্তি পাঠানো মানে পুজোর আগেই পুজোর আনন্দ পাওয়া।”
এর আগেও তাঁর তৈরি লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মূর্তি গিয়েছে নরওয়েতে। এমনকি চার বছর আগে তাঁর থিম ‘দশঅবতার’ পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটনে। বর্ধমান থেকে কলকাতার একাধিক বড় পুজো মণ্ডপেও তাঁর শিল্পকর্ম কুড়িয়েছে প্রশংসা। শহরের শাঁখারীপুকুরে তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘মাটি মায়া’ আজ বর্ধমানের শিল্পভুবনের অন্যতম ঠিকানা।
বর্ধমানবাসীর কাছে এ এক গর্বের মুহূর্ত। দুর্গা পুজোর আগে বিদেশে শহরের শিল্পকলা ছড়িয়ে পড়া মানে উৎসবের আনন্দ যেন আরও বেড়ে যাওয়া।
শহর জুড়ে এখন একটাই গর্বের সুর — “বর্ধমানের দুর্গা পৌঁছচ্ছে কানাডায়, মাতৃ আরাধনা এবার হবে বিদেশের মাটিতেও।”