একদিকে নাগাড়ে বৃষ্টি, অন্যদিকে ডিভিসির জলাধার থেকে জলছাড়ায় বানবাসি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার উচালন অঞ্চলের একাংশ। সোমবার এলাকার পরিদর্শনে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া ও জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে উচালনের মুনিয়ারীগ্রাম।দেবখালে জল বেড়েছে। শুরু হয়েছে পাড়ে ভাঙন।আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা। এখানে উল্লেখ্য বেশ কয়েকটি নয়নঞ্জলির জল মিলিত ভাবে দেবখালে মেশে।দেবখাল দামোদরের শাখানদী দ্বারকেশ্বরে পড়ছে।
দেবখালের ভাঙন অবশ্য নতুন নয়।একদশকের বেশী সময় ধরে দেবখালে ভাঙন শুরু হয়েছে। উচালন পঞ্চায়েতের প্রধান আনিসুর রহমান বলেন,২০১৩ সাল থেকে তাঁরা দেবখালের ভাঙন রোধে উদ্যোগ নিয়েছেন। দেবখালের ভাঙন আটকাতে না পারলে মুনিয়ারী গ্রাম শেষ হয়ে যাবে। প্রশাসন পক্ষ থেকে এই নিয়ে বহুবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু জমিজটে দেবখালের সংস্কার করা যায় নি।দেবখালটি অন্যদিকে খনন করে ঘুরিয়ে দ্বারকেশ্বর নদী ফেলে হলে মুনিয়ারী গ্রাম বেঁচে যাবে।না হলে কোনভাবেই ভাঙন রোধ করে গ্রামকে বাঁচাবো যাবে না।
মুনিয়ারীগ্রামের পাশে অলি বাজার এলাকায় একটি শ্মশান চুল্লি ইতিমধ্যে জলের তলায়। সেই নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। এলাকার মানুষের দাবী অনুযায়ী দেব খাল ঘুরিয়ে দেওয়া নিয়ে বহুবার প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করা হলেও দু’জন ব্যক্তি তাদের জমি দিতে রাজি হয়নি বলে জানান উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনিসুর রহমান খান।
সভাধিপতি জানান, প্রতিবছর এতটা ভাঙ্গন দেখা যায় না। এখনো বাকি রয়েছে বর্ষা। বৃষ্টি বাড়লে গোটা গ্রাম টাকে বাঁচাতে পারবো না।প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে দেবখাল সংস্কার করা হবে।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিয়ে দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।যে জায়গার অবস্থা খুবই খারাপ আছে। সেই গুলো একে মেরামত করা হবে।