রবিবাসরীয় সকালে প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ বর্ধমানের টাউন হলে জনসংযোগ সারলেন। এরপর শহরে মহাবীর জয়ন্তীর মিছিলে পা মেলান তিনি। পরে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,
প্রশ্ন–অভিষেক বলছেন বিজেপিকে বিসর্জনের বার্তা দিয়ে বাংলার মহিলারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করছে।
দিলীপ ঘোষ –ওটা গিয়ে একবার সন্দেশখালিতে বলুন। সন্দেশখালির মহিলারা ঘুরে ঘুরে প্রচার করছে, তাদের উপর কিভাবে অত্যাচার হয়েছে সেটা বলছেন তারা। জবাব ওনারা ভোটে পাবেন।
প্রশ্ন–সোমবার এসএসসির চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত তার আগেই গতকাল শুভেন্দুকে বলতে শোনা গেলো।
আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন বোমা পড়বে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে।
কার্যত হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।
দিলীপ ঘোষ –এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে।আমরা আশাকরি এট হবে।বা যেটা বাস্তব পরিস্থিতি সেটাই হবে। যেমন প্রত্যেকটি কেসে টিএমসি সরকার হারছে।কারণ তারা অন্যায় করেছে।তার বিচার শুরু হয়েছে। তারা সাজা হবে।যারা লড়াই করছেন তারা সুবিচার পাবেন।
প্রশ্ন–সেনা জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত মাওবাদীদের শহিদ তকমা দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীণেত। মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে পাল্টা ময়দানে নেমেছে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ –দেখুন এর আগে আমরা দেখেছি।টেরোরিস্টরা মারা গেলে কংগ্রেস নেতারা বাড়িতে যেতেন।ওমপ্রকাশ দিল্লিতে যিনি পুলিশ অফিসার ছিলেন, এনকাউন্টারে তিনি মারা গেলেন তার বাড়িতে যান নি কংগ্রেসের নেতারা।যে টেরোরিস্ট মারা গেছিল তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আজকে কি হয়েছে কংগ্রেস সারা দেশ থেকে মুছে গেছে। এই দেশের সংস্কৃতি পরম্পরা স্বাধীনতার সুরক্ষার উপরে যারা প্রশ্ন তুলবে দেশ বিরোধীদের সঙ্গে যারা থাকবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
প্রশ্ন–বিশ্ববাংলার লোগো লাগানো সরকারী সাইকেল চড়া দামে বিক্রির হচ্ছে বাংলাদেশের খুলনার হাটে।
দিলীপ ঘোষ — আমরা বাংলাদেশে চাল,ডাল, ওষুধ ইত্যাদি পাঠানো হত জামতাম,গরুও পাঠাতো জানতাম, সাইকেল পাঠানো হচ্ছে এখন জানা গেল।আর কত নীচে নামবে।এখানকার মানুষের টেক্সটের টাকায় বিলি করে ভোটও পাচ্ছে ও বিদেশেও পাচার করে দিচ্ছে। আগে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে টাকা গেছে টিএমসি নেতাদের। এখানকার মানুষদের শোষণ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন।এই অনৈতিক কাজ আমার মনে হয় গোটা সমাজ বিরোধীদের হাতে পার্টিটা চলে গেছে।
প্রশ্ন–দেশজুড়ে ভোট চলাকালীন দূরদর্শনকেও গেরুয়াকরণ করায় আমি স্তম্ভিত।’ নির্বাচন চলাকালীন দূরদর্শনের লোগোর রং বদল নিয়ে আক্রমণে মমতার।
দিলীপ ঘোষ — আগে বন্দে ভারত যে ট্রেন বেরিয়েছিল তা নীলসাদা রং হয়েছিল।সবাই বললো দিদির রংটা দাদা করেদিয়েছে রেলের রং।আজকে গেরুয়া বেরিয়েছে,মেরুন বেরিয়েছে।পরিবর্তন তো হবেই।সব নীলসাদা হবে কেন।গেরুয়া তো দেশের প্রতীক,পরম্পরায়। সব জায়গায় গেরুয়া থাকা উচিত।যদি করে থাকে সেটা দূরদর্শনের অধিকার আছে।তারা কোন লোগোটা ব্যবহার করবে।তারা তো মমতা ব্যানার্জীর বিশ্ববাংলার লোগো লাগাবে না।
প্রশ্ন- তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করছে আপনার রাজনৈতিক সন্যাস নেবার সময় হয়ে এসেছে।
দিলীপ ঘোষ – সেটা তো লোক বলবে। কে সন্যাস নেবে, কে জেলে যাবে, কে দেশ ছাড়বে, বাংলা ছাড়া হবে সেটা চার তারিখের পর বোঝা যাবে। যারা বিজয় উৎসব পালন করছে তাদের জেতার কোন চান্স নেই। এখন বাজনা বাজিয়ে নাচছে তখন তুর্কি নাচ নাচবে।
প্রশ্ন- ক্ষমতায় এলে রাহুল গান্ধী অগ্নিবীর যোজনা বাতিল করবেন বলেছেন
দিলীপ ঘোষ – ক্ষমতায় আসুন। উনি তো অনেক কিছু বাতিল করবেন বলেছেন। ওনার জীবনে মন্ত্রী তো দূরের কথা এম পি হতে পারবেন কিনা দেখুন। এরপর ইতালি চলে যেতে হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন,আজকে মহাবীর জয়ন্তী, পবিত্র তিথি। জৈন সমাজের সঙ্গে হাঁটলাম রাস্তায়। বাংলার মানুষের কাছে আবেদন করবো, হিংসা ভুলে অহিংসার রাজনীতিতে,অহিংসার রাস্তায় আসুন। পশ্চিমবাংলার মান বাড়বে।