আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

জাঁকিয়ে রেকর্ড শীত পড়ার আশঙ্কায় গরম পোশাক কেনার ভিড়

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

জয়দীপ মৈত্র ( দক্ষিণ দিনাজপুর ) :- গত দু’দিন ধরে চলতে থাকা ঠান্ডা হিমেল হাওয়ার জন্য পারদ নামল শীতের। আর তাতেই কাপড়ের দোকানগুলিতে শীত থেকে বাঁচার জন্য ক্রেতাদের গরম পোশাক কেনার ভিড় উপচে পড়ছে ক্রমাগত।

গত রবিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া হিমেল হাওয়ার জেরে ঠান্ডার পারদ ক্রমে নামতে থাকে। এক লাফে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ১৪-১৭ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিস জানায়, রবিবার ছিল শীতলতম দিন। সেই কারণে করোনা আবহে শীতের চরম দাপট থেকে বাঁচার জন্য জেলা জুড়ে ছোট-বড়ো বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলিতে গরম পোশাক কেনার ভিড় জমাচ্ছেন আবালবৃদ্ধবনিতা।

এদিন আবালবৃদ্ধবনিতা যথাযথভাবে পাল্লা দিয়ে দামি থেকে শুরু করে কম দামি অবধি শীতের শাল, চাদর, পশমের জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য মাঙ্কি টুপি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু কিনতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সবে শুরু হয়েছে শীত। আগামীতে আরও ঠান্ডা পড়ে এবারের শীত সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করতে পারে। আর সেই খবর জানতে পেরেই সবাই গতানুগতিকভাবে দোকানগুলিতে ভিড় করছেন।

এদিকে গরম পোশাক বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারীরা। কেউ বলছেন দু’দিন ধরে হিমেল হাওয়াতে যে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে তাতেই গরম পোশাকের বিক্রি বেশ জমে উঠেছে। আবার অনেকেই শুধু বসে বসে দোকানের মাছি তাড়াচ্ছেন দোকানের।

তবে যে যাই বলুক শীতের আমেজে বেশ চনমনে আবালবৃদ্ধবনিতা, তাদের গরম পোশাক কেনার উত্তেজনা দেখেই তা ঠাহর করা যাচ্ছে। পাশাপাশি যে দোকানগুলিতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে সেগুলো সঠিক দাম থাকায় মানুষ যথাযথভাবে সঠিক দাম দিয়ে তা কিনতে পারছেন। অন্যদিকে, আরও কয়েকজন দোকানদার জানান, তাদের দোকানে ছোট থেকে বড়ো সবার জন্যই বিভিন্ন দামের গরম পোশাক রয়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত গরম পোশাক রয়েছে। পোশাকের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কম্বল ও লেপ বিক্রিও।

See also  কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে তিন ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ জমিয়তের

শীত থেকে বাঁচার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতেও গরম পোশাক কেনার ভিড় যথেষ্ট লক্ষনীয়, কান টুপি-হাত মোজা-সোয়েটার প্রায়ই সবকিছুর বিক্রি চলছে। শীত থেকে বাঁচার জন্য গ্যাটের খরচ করে হাসি মুখে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সকলে। অবশ্য এ বিক্রির জন্য যে খরিদ্দারদের ঢল নেমেছে তাতে যারপরনাই খুশি দোকান মালিক থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানদারেরাও।

শীতের আমেজকে আগলে নিয়ে পিকনিকে মজেছেন সকলেই। অনেকে বড়দিন শুরু হওয়ার আগেই গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পিকনিকের জন্য বেরিয়ে পড়ছেন। স্বভাবতই দেশী থেকে বিদেশী মদের দোকান গুলোতে ভিড় জমে উঠেছে। শীতের গরম পোশাক বিক্রি করে অনেকটাই এবার লাভের মুখ দেখছেন বলে জানান গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন কাপড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলি।

তবে শীতের আমেজকে যে আট থেকে আশি যথেষ্টভাবে স্বাগত জানিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। এদিকে রাস্তার ধারে ভাপা পিঠা বিক্রি থেকে শুরু করে ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে গরম খাবার বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ। মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে সেসব দোকানগুলিতে। এক কথায় সব মিলিয়ে শীতকে সাদর স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি