আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

রাজ্যের চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সিপিএমকে  কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৩ সেপ্টেম্বর

 

বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে গত বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শহর বর্ধমান ।

ওইদিন পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে পোটানো গোটা বর্ধমান শহর জুড়ে তাণ্ডব

চালানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মীদের

বিরুদ্ধে ।সিপিএমের সেই সন্ত্রাস ও ইডি, সিবিআইয়ের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে

শনিবার পথে নামলো তৃণমূল কংগ্রেস।

 

 

বিশাল প্রতিবাদ মিছিল শেষে শহরের কার্জনগেট

চত্ত্বরে বিকালে হয় প্রতিবাদ সভা।সেই সভায় রাজ্যের চার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ,প্রদীপ মজুমদার,শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপস্থিতিতেই সিপিএমকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস।যা নিয়ে বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

 

 

 

দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল

নেতা অনুব্রত মণ্ডল কে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে।এই ঘটনার পর পরই রাজ্যে রাজনৈতিক জমি ফিরে পেতে আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলে বামেরা। পরিকল্পনা সার্থক করতে তারা

এক কালে বাম দুর্গো হিসাবে পরিচিত বর্ধমান কেই বেছে নেন।

 

সেই মতো সিপিএম নেতৃত্ব গত ৩১আগষ্ট বর্ধমানে ’আইন অমান্য ’কর্মসূচির

ডাক দেয়। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ

সেলিমের নেতৃত্বে হওয়া সেদিনের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে শহর বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেযায়।

 

 

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে বামকর্মী সমর্থকরা।এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে।জলকামান ও কাঁদানের গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বাম কর্মী সমর্থকদের সরাতে গেলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহেরা নেয়।বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়।শহরের

বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ

ওঠে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে।এই ঘটনার পর পাল্টা দু’দিন ধরে বর্ধমানের নীলপুর ও দেওয়ানদীঘি এলাকায় দু’টি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ

ওঠে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

 

 

 

এদিন প্রতিবাদ সভার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে

উঠে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন,“আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তির প্রতীক। তিনি এবং আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন গণ্ডগোল ও অশান্তি করতে মানা করেছেন। তাই আমরা সবাই শান্ত হয়ে রয়েছি।তা নাহলে আমাদের

See also  দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী

বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দিতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতো না। সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে।

 

 

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন।৩১ আগষ্ট চোর ধরো-জেল ভরো আন্দোলনের নামে বর্ধমানে সিপিএম ভাঙচুর করেছে।এমনিতে গোটা শহরে একটা ইটের টুকরো পাওয়া যায় না ।অথচ সেদিন বস্তা বস্তা ইট পুলিশকে লক্ষকরে ছোড়া হয়েছে।এমনকি শহরে কার্জনগেট চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা যে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির ছবি পৌরসভা টাঙিয়ে ছিল সেই গুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে । অথচ

এই সিপিএম ৩৪ বছরে রাজ্যে কোন উন্নয়ন করে নি বলে খোকন দাস মন্তব্য করেন“।

 

 

 

অন্যদিকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা হাটে হাঁড়ি ভাঙা শুরু করলে সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।সিপিএমের আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদের“।একই ভাবে রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও এদিন সিপিএমকে কার্যত তুলোধনা করেন।

 

 

কর্জনগেট এলাকায় থাকা ফলের দোকানে লুটপাট চালানো নিয়েও স্বপন দেবনাথ এদিন

সিপিএম কে কটাক্ষ করেন পাশাপাশি তিনি দলের নেতা ও কর্মীদের এখনথেকেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করার বার্তা দেন ।

 

 

 

তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, “ওরা কি পারে আর পারে না, ওই সব নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।তবে এত উন্নয়নের কথা বলা হলেও বর্ধমান শহরের রাস্তায় পিচ খুঁজে পাওয়া যাবে না।কেবল ইট পাওয়া যাবে।সাধরণ মানুষ রাস্তায় হাটতে পারছেন না“।

 

 

চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সিপিএমকে
কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৩ সেপ্টেম্বর

বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে গত বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শহর বর্ধমান ।
ওইদিন পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে পোটানো গোটা বর্ধমান শহর জুড়ে তাণ্ডব
চালানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মীদের
বিরুদ্ধে ।সিপিএমের সেই সন্ত্রাস ও ইডি, সিবিআইয়ের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে
শনিবার পথে নামলো তৃণমূল কংগ্রেস।

See also  কালনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের স্নেহভাজন তৃণমূল নেতা

 

 

 

বিশাল
প্রতিবাদ মিছিল শেষে শহরের কার্জনগেট
চত্ত্বরে বিকালে হয় প্রতিবাদ সভা।সেই সভায় রাজ্যের চার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ,প্রদীপ মজুমদার,শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপস্থিতিতেই সিপিএমকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস।যা নিয়ে বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

 

 

দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল
নেতা অনুব্রত মণ্ডল কে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে।এই ঘটনার পর পরই রাজ্যে রাজনৈতিক জমি ফিরে পেতে আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলে বামেরা। পরিকল্পনা সার্থক করতে তারা
এক কালে বাম দুর্গো হিসাবে পরিচিত বর্ধমান কেই বেছে নেন।সেই মতো সিপিএম নেতৃত্ব গত ৩১আগষ্ট বর্ধমানে ’আইন অমান্য ’কর্মসূচির
ডাক দেয়।

 

 

সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ
সেলিমের নেতৃত্বে হওয়া সেদিনের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে শহর বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেযায়।
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে বামকর্মী সমর্থকরা।এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে।জলকামান ও কাঁদানের গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বাম কর্মী সমর্থকদের সরাতে গেলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহেরা নেয়।বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়।শহরের
বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ
ওঠে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে।এই ঘটনার পর পাল্টা দু’দিন ধরে বর্ধমানের নীলপুর ও দেওয়ানদীঘি এলাকায় দু’টি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ
ওঠে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

 

 

 

এদিন প্রতিবাদ সভার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে
উঠে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন,“আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তির প্রতীক। তিনি এবং আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন গণ্ডগোল ও অশান্তি করতে মানা করেছেন। তাই আমরা সবাই শান্ত হয়ে রয়েছি।তা নাহলে আমাদের
বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দিতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতো না। সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে।

See also  পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

 

 

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন।৩১ আগষ্ট চোর ধরো-জেল ভরো আন্দোলনের নামে বর্ধমানে সিপিএম ভাঙচুর করেছে।এমনিতে গোটা শহরে একটা ইটের টুকরো পাওয়া যায় না ।অথচ সেদিন বস্তা বস্তা ইট পুলিশকে লক্ষকরে ছোড়া হয়েছে।এমনকি শহরে কার্জনগেট চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা যে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির ছবি পৌরসভা টাঙিয়ে ছিল সেই গুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে । অথচ
এই সিপিএম ৩৪ বছরে রাজ্যে কোন উন্নয়ন করে নি বলে খোকন দাস মন্তব্য করেন“।

 

অন্যদিকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা হাটে হাঁড়ি ভাঙা শুরু করলে সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।সিপিএমের আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদের“।একই ভাবে রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও এদিন সিপিএমকে কার্যত তুলোধনা করেন।
কর্জনগেট এলাকায় থাকা ফলের দোকানে লুটপাট চালানো নিয়েও স্বপন দেবনাথ এদিন
সিপিএম কে কটাক্ষ করেন পাশাপাশি তিনি দলের নেতা ও কর্মীদের এখনথেকেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করার বার্তা দেন ।

 

 

তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, “ওরা কি পারে আর পারে না, ওই সব নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।তবে এত উন্নয়নের কথা বলা হলেও বর্ধমান শহরের রাস্তায় পিচ খুঁজে পাওয়া যাবে না।কেবল ইট পাওয়া যাবে।সাধরণ মানুষ রাস্তায় হাটতে পারছেন না“।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি