আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

#বর্ধমানবাসি স্বস্তির খবর, বর্ধমানে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ।

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বাবু সিদ্ধান্ত,  বর্ধমান 

সালারের ক্যানসার আক্রান্ত এক বৃদ্ধ ও পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের এক ব্যক্তির শরীরে করোনার ভাইরাসের প্রমাণ মিলতেই নড়ে চড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর ।কোয়রান্টাইন করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মীকে।
কোয়ারান্টিনে থাকা বর্ধমান হাসপাতালের ৩৯ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রাথমিক রিপোর্টে নেগেটিভ আসায় আপাতত স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানাগেছে ,ক্যানসার আক্রান্ত বছর ৭৭ বয়সী ওই বৃদ্ধর বাড়ি মুর্শিদাবাদের সালারের একটি গ্রামে । শ্বাস কষ্টের চিকিৎসা করানোর জন্য পরিবারের লোকজন বৃদ্ধকে ১২ এপ্রিল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে । পরেরদিন পরিবারের লোকজন বৃদ্ধকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়েযায় । সেখানে চিকিৎসকরা বৃদ্ধর শরীরে নির্দিষ্ট উপসর্গ পান । এরপরেই বৃদ্ধকে বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কোবিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ।

সম্প্রতি ওই বৃদ্ধর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে । তারই মধ্যে গত রবিবার সামনে আসে খণ্ডঘোষের এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পরার বিয়টি । এরপরেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সালারের বৃদ্ধকে কলকাতায় এবং খণ্ডঘোষের ব্যক্তিকে দুর্গাপুরের কোবিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক প্রণব রায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৯ জন এবং কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ১৮ জনকে সরকারী কোয়রান্টাইনে রাখার নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে সরকারী কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয় খণ্ডঘোষের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের ৯ জন সদস্যকে। জানাগেছে, তাঁদের মধ্যে ৩ জনের প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এছাড়াও বুধবার রাতে কোয়ারান্টাইনে থাকা কাটোয়া হাসপাতালের যে ৭ জনের রিপোর্ট এসেছে তাঁদের প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

 

See also  বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়াল লিখন শুরু হল

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি