আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

ফের পূর্ব বর্ধমানে করোনার থাবা । এবার আক্রান্ত এক নার্স

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বাবু সিদ্ধান্ত -বর্ধমান- ৫ মে

আবারও এক করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিলল পূর্ব বর্ধমানে ।খণ্ডঘোষের পর এবার করোনা আক্রান্ত বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লীর এক মহিলা।‘সিবি-ন্যাট ’ যন্ত্রে সোমবার থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয় করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা।প্রথম দিনেই চারজনের নমুনা পরীক্ষা হয় । সন্ধ্যায় রিপোর্ট মিলতেই জনাযায় চারজনের মধ্যে ওই মহিলার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ। আরো নিশ্চিৎ হবার জন্য আইসিএমআরের ল্যাবরেটরিতে দ্বিতীয়বারের যে পরীক্ষা হয় তার রিপোর্টও রাতে করোনা পজেটিভ আসে । এরপরেই জেলা পুলিশ মহিলার সমগ্র বাসস্থান এলাকা সিল করে দেয় । বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকায় কারুর ঢোকা বেরুনো পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

 

জেলাশাসক বিজয় ভারতী মঙ্গলবার জানান, “করোনা পজেটিভ ধরা পড়া ওই মহিলা কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালের নার্স। একটি গাড়িতে চড়ে গত শনিবার তিনি বর্ধমানে আসেন। পরে তিনি নিজেই সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে করোনা-পরীক্ষা করান। সেখানে পরীক্ষার রোপোর্টে ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ে। দ্বিতীয় দফায় আইসিএমআরের ল্যাবরেটরিতে হওয়া পরীক্ষার রিপোর্টও একই আসে । এরপর অনেকটা রাতে পুলিশ মহিলার বাড়িতে পৌছে
ওই মহিলা সহ তাঁর পরিবারেয় পাঁচজনকে তুলে নিয়ে বর্ধমানের গাংপুরের ‘কোভিড ১৯’ হাসপাতালে নিয়েগিয়ে ভর্তি করে। এদিন তাঁদের সকালকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।

ইতিপূর্বে এই জেলার খণ্ডঘোষের সগড়াই পঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যক্তি ও তাঁর নাবালিকা ভাইজীর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তাঁদেরকেও চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের
কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয় । সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর গত ৩০ এপ্রিল তাঁদেয় ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় । জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এবার যে মহিলার করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে তিনি বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা । পেশায় ওই মহিলা কলকাতার সরকারি হাসপাতালের একজন নার্স । হুগলির উত্তরপাড়ার বাপের বাড়িতে থেকে তিনি ডিউটি করতেন ।

মহিলার স্বামী পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বর্ধমানের অফিসের কর্মী। দম্পতির দুই কিশোর সন্তান স্কুল-পড়ুয়া। শনিবার ভাড়া গাড়িতে চড়ে তিনি উত্তরপাড়া থেকে বর্ধমানের বাড়িতে আসেন। জ্বর,সর্দি,কাশির মত উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও মহিলা ওই এলাকার দোকান বাজার ,ওষুধের দোকান সহ নানা জায়গায় গিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ।

এবিষয়ে জেলাশাসক বলেন, “আক্রান্তের স্বামী যে অফিসে কাজ করেন সেখানকার সমস্ত জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে করার পরে খোলাযাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।“ আক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-সংস্পর্শে আসায় ন’জনকে গাংপুরের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানো হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।

See also  মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করার পরেই রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী হল পূর্ব বর্ধমান প্রশাসন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি