প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৮ মার্চ
জাল ফিক্স ডিপোজিট সর্টিফিকেট দিয়ে লোক ঠকানো চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম গোকুলানন্দ ঢালি।পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার মহেশডাঙা ১ নম্বর ক্যাম্প এলাকায় তার বাড়ি। মেমারি থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শনিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান সিজেএম আদালতে।আরও জাল ফিক্স ডিপোজিট সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করতে তদণ্তকারী অফিসার ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় । সিজেএম ধৃতের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে,মহেশডাঙা ৪ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস।তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মেমারি শাখার একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ৪৫ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখেন। ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এজেন্ট তাঁকে টাকা জমা রাখার শংসাপত্র দেয়।গত বছরের ১১ নভেম্বর জমা রাখা টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এরপর শ্যামল বাবু ফিক্স ডিপোজিট সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে টাকা তুলতে যান।
আমানতকারী শ্যামল বিশ্বাসের অভিযোগ,ফিক্স ডিপোজিট সার্টিফিকেটের ম্যাচুইরিটি অনুযায়ীয়
প্রাপ্য টাকা না দিয়ে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালক নানা অছিলায় পাস কাটানো শুরু করে।
টাকাও দেয় না।শ্যামল বাবু বলেন, এরপর আমি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির মেমারি শাখায় যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ব্যাংকে কোনও টাকা জমা পড়েনি।এরপরই তিনি বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। সিজেএম কেস রুজু করে তদন্তের জন্য মেমারি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে পুলিশ ব্যাংকের মেমারি শাখায় যায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়,যে অ্যাকাউন্ট নম্বরের কথা উল্লেখ করে আমানতকারীকে ফিক্স ডিপোজিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, সেটি স্থায়ী আমানতের নয়। সেটি ব্যাংকের কাটোয়া শাখার একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের নম্বর। এরপর তদন্তকারী অফিসার ব্যাংকের কাটোয়া শাখায় যান। সেখানে গিয়ে তদন্তকারী অফিসার নিশ্চিৎ হন শংসাপত্রটি জাল। আমানতকারীকে ঠকানোর জন্য তাতে ব্যাংকের নকল সিল ব্যবহার করা হয়েছে।এমনটা জানার পর পুলিশ প্রথম ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এজেন্ট গোপাল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে হেফাজতে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ এই জালিযাতি চক্রের অন্যতম পাণ্ডা গোকুলানন্দ ঢালির নাম জানতে পেরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।